আমি কতদিন ধরে তার নিদাঘ দৃষ্টি, হাসি,
এলোচুলের ঘ্রাণ; তার স্মৃতি-কথা-গান;
তার নাম, প্রিয় নামের বানান থেকে
অগোছালো নিজেকে রেখেছি দূরে।

ধূসর পাণ্ডুলিপির পাতায় কতদিন বুলাইনি চোখ,
দোলনচাঁপার ঘ্রাণ নেইনিকো কতকাল,
রূপসী বাংলার রূপ খুঁজতে যাইনিকো কতদিন আমি,
তবু স্মৃতি তার ভুলে থাকা ভার!

'ভুলে যাওয়া' নয়, বড়জোর ভুলে থাকা যায় তারে পলক দু-এক।
ভুলতে পারি না, ক্ষীণ আশাও রাখতে পারি না আজ:
আশার কৃত্রিম প্রখর আলোয় ঝলসে যাই,
আজকাল আঁতকে ওঠে প্রাণ মিথ্যা আশার ছলনায়!

হয়তোবা এই সব ছেড়ে
একদিন রক্তিম গোধূলির আলোর মতো মুছে যাবো;
একদিন সরে যাবো অবহেলা সয়ে সয়ে অবনত মুখে:
সন্ধ্যার সূর্যমুখীর মতো একদিন ক্লান্ত অবসন্ন চোখে নুয়ে যাবো।
এইসব নির্বাক লাঞ্ছনা একদিন, হ্যাঁ, একদিন
নিস্তব্ধতায় রূপ দিয়ে ছুটি নেবো!
একদিন উবে যাবো দূর্বায় লেগে থাকা শিশিরের মতো:
রোদ্রের আঁচে নয় -
জোর করে জোর দেওয়া তার রূঢ় উপেক্ষার তেজে।