রূঢ় রাত্রির পাথরের মত স্থবিরতায়—
দুঃসহ উৎকন্ঠা আর ক্লান্তির ক্রমশ ছোয়ায়—
কত সবুজ সজীব স্বপন নীরবে ধূসর হয়ে গেছে—
কত মৃত আকাঙ্ক্ষার ছাই পড়ে আছে,
কত নির্বাক আশারা পায়নি ভাষা,
কত কথা ছিল হৃদয় গহনে,
কত অপলক চোখ ক্লান্তিতে বুঝে গেছে—
ঘুমে পরে গেছে ঢুলে—
                              তুমি জানলে না!

কত হাহাকার আহজারী
বুক ভারী করে দমে যায় দিন-দিন,
দিন-দিন লাঞ্ছনা সয়ে সয়ে
কত স্মৃতি ধুকে ধুকে হয়েছে মলিন—
কত নির্বাক অবহেলা ব্যথার পাহাড় গাড়ে —
বরফের মতো কত বিষন্ন বেদনারা
বাসা বাঁধে, কত নিস্তেজ লাঞ্ছনা
বর্শার ফলা হয়ে গেথে থাকে বুকে—
                               তুমি জানলে না!

আমি হৃদয়ের খোজে হৃদয়ের থেকে
পালিয়েছি কত দিন, আমি জীবনের তরে
জীবনকে ছেড়ে কতকাল দিশা-হীন—
হন্যে হয়ে নির্দয় রাত্রির বুকে
মাথা ঠুকে গেছি একা অন্ধকারে!
আমি সামানগাঁ থেকে ধূসর মরুর বুক চিরে
দুর্দম আশা বুকে সফেদ দুর্গে এসে
কতবার হেরেছি তোমার মেকি দম্ভের কাছে—
                               তুমি জানলে না!