"কিরে খুকু, ফোঁপাস কেন? বল মা, আমায় বল!
ডাগর ডাগর চোখ দুটো তোর কেনরে ছল ছল?
বইগুলো সব মেলে রেখে এ করেছিস কী?
কী হয়েছে? কী হয়েছে? বলনা লক্ষ্মী!
খাবার কেন খেলি না তুই? সজাগ কেন মাঝরাতে ?
মা তো আমার! বলনা, আবার রাগ করেছিস কার সাথে?
ওমা আমার! আর কাঁদে না, থাম না বাপু থাম।
কেউ কিছু কি বলেছে তোকে? 'হ্যাঁ'? বলতো তার নাম!”
“অ্যাঁ,অ্যাঁ,অ্যাঁ আর বলো না ,আর বলো না মা!
ও পাড়ার ওই দুষ্টু নিতাই খাচ্ছিল কোরমা।
আমি গিয়ে একটুখানি থুথু দিয়েছি তাতে -
তাতেই ছোড়া ঝগড়া করে এসে আমার সাথে!
কত কিছু বকলো আমায় অ্যাঁ,অ্যাঁ,অ্যাঁ
বলল আমায় ‘ইতর’ ‘পাজি’ বলল ‘বেহায়া’
তাইতো আমি রাগ করে এক বসিয়ে দিলাম 'চর'
নাকটা তে দুই ঘুসি মেরে বললাম ‘তুই মর!'
অ্যাঁ,অ্যাঁ,অ্যাঁ.. তাতেই এসে কিল মেরেছে পিঠে
কান মলেছে, গাল টিপেছে, নিয়ে নিয়েছে মিঠে!
আমিও তক্ষন কতকখানি কালি দিয়েছি গালে
কোরমা টোরমা রাগ করে সব ফেলে দিয়েছি খালে!
তাই বলে কি বকবে আমায় লক্ষ্মীছাড়া বলে?
এত সাধের কলমটাকে ফেলে দেবে ও জলে!
কি সুন্দর খোঁপাটা.. অ্যাঁ.. দিয়েছিলাম চুলে
চুল থেকে সেটাও না মা নিয়ে নিয়েছে খুলে!
কালকে যদি এর না তুমি বিহিত করো কোনো
করবো যে কী! রাখছি বলে কান খুলে ঠায় শোনো,
আর যাবনা স্কুলেতে ছাড়বো পড়ালেখা,
দূরে কোথাও চলে যাব তোমায় করে একা!
বলবো না আর কোনদিনও কথা তোমার সাথে
ভাত খাব না, ঘুম যাব না সাতদিন সাতরাতে!”