সেই এক শরতের সন্ধ্যায়
একঝাক জোনাকির আলোয়
কোনো এক বিধ্বস্ত বেখেয়ালি বৃহস্পতিবার
তোমার দুচোখে চোখ রেখেছিলো হৃদয় আমার।
তারপর থেকে এ জীবনে ভালো লাগে নাই
কক্ষনো কোনো কিছু কোনোদিন আর!


সেই শেষবার ভালো লেগেছিল দুটি ক্লান্ত চরণ,
বিষণ্ণ চশমার আড়ালে একজোড়া করুণ নয়ন;
কৃষ্ণচূড়ার মতো একটা মানুষ চোখে গেঁথেছিল বহুদিন;
বহুক্ষণ, বহুকাল একটি বিমর্ষ মলিন
নিষ্পাপ মুখে হয়েছিল হৃদয় নাকাল!
তারপর দুচ্ছাই! কী আকাল
নামলো জীবনে।

                   একে একে
কত কিছু এলো গেল  সেই থেকে:
একটু শীতল স্নিগ্ধতার লোভে বুক ফেটে
গেছে কত না মাঠের। কেঁদে কেটে
আকাশ তা দেখে ঝরিয়েছে জল
কতবার- কতবার দুচোখ থেকে অবিরাম ঢল
নামিয়েছে।

           কত শরত, হেমন্ত এসে হয়ে গেছে ফিকে,
কতবার শিশিরের শুভ্রতায় চারদিকে
দূর্বা গজিয়েছে। শীতার্ত বসুমতী
কত করে রাঙাতে চেয়েছে এ মন, কত শত সরস্বতী
চোখের সামনে সব রূপসীর জমিয়েছে ভিড়-
কচি হলদিতে ঘষে মুখ, মন আর তাদের শরীর
দিয়ে করিয়েছে ছল- কত মায়াময়ী জাল
বিছিয়েছে। তবুও এ মন ক্ষণকাল
ধায়নি সে পানে।
                        
                    অবশেষে
কোকিলের ডাকে বসন্ত এসে
চারিদিকে বিছিয়েছে রঙ, সাজিয়েছে ফুলের বাহার।
তবু সেই শেষ বিধ্বস্ত বেখেয়ালি বৃহস্পতিবার
থেকে এ জীবনে ভালো লাগে নাই,
কক্ষনো কোনো কিছু কোনোদিন আর!














আমবটতলা, যশোর (4:21 AM)
১০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (২৫ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ)