একটি কবিতার জন্য প্রার্থনা জানাই।


এই বৃক্ষ, শ্যাওলা পরা দেয়াল আর শতায়ু বৃদ্ধ একটিমাত্র কবিতার জন্য কেন আমাকে এতসব শর্ত জুড়ে দেয়?
সবুজ মাঠ, নীলকণ্ঠ পাখি, অবারিক জ্যোস্নালোকিত রাত তোমরা আমায় একটি কবিতা দেবে?
যা আমায় আর কেউ দিল না?
একটি শর্তহীন কবিতা পাবার জন্য আমাকে আর কতকাল অপেক্ষায় থাকতে হবে?

নক্ষত্র খচিত রাত, হেমন্তের কুয়াসা ঢাকা সকাল, শীতের পরিযায়ী পাখি-কার কাছে কবিতার প্রার্থনা করবো?
পারমাণবিক বর্জ্যে মৃতপায় নদীগুলো কবিতার সন্ধান দিতে পারে না-
কেবলই আজলা ভরে রেডিয়েশন ঢেলে দেয়।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিমনি থেকে কয়লা পোড়া বিষাক্ত সালফার ডাই অকসাইডের ধোঁয়া চারপাশ কালো করে দেয়;
পরিযায়ী পাখি আর মৌমাছিরা দূর-দূরান্ত থেকে কবিতার কোন ছন্দ আর বয়ে আনতে পারে না সুন্দর বনে।

নিরূপায় আমি একটি শিশুর কাছে,
শিশুর চোখে কবিতা খুঁজে ফিরি;
কিন্তু হায়! শিশুর দৃষ্টি স্বল্পতা আমাকে আবারও নিরাশ করে।
মায়োপিয়া আক্রান্ত শিশু তার দৃষ্টির স্বচ্ছতা হারিয়ে আমাকে দিগন্তের স্বপ্ন দেখাতে পারে না।

শর্তহীন নির্মল কবিতার পাণ্ডুলিপির জন্য আমাকে কি রাজপথে আবারও আন্দোলনে যেতে হবে?

গাঙচিল, সারসপাখি, দলবাঁধা পরিযায়ী পাখি আর ইরাবতি ডলফিনরা  
একটি কবিতার জন্য আমার আকুতিময় আকাঙ্খাকে কেনো বিবেচনায় নিতে চাইলো না?