ফাগুনে যদিও লাগেনি আগুন কৃষ্ণচূড়ায়
লাগেনি আগুন দূর দিগন্তে পলাশ বনে
যৌবন ছিল যাদের দীপ্ত অগ্নিকণা
তারাই আগুন দিয়েছে ছড়ায়ে কৃষ্ণচূড়ায়।
তাদের বুকের রক্তে এখন আরো হলো লাল
তাদের গানের আগুনে আবার দীপ্ত শিখা
রোদন ভরা এ ফাল্গুনে ফুল পলাশ বনের
দু’পাশে ছড়ানো ঝরাফুল নয় বিস্মরণের
ঝরা ফুল নয় শুধু এ পথেই হারিয়ে যাবার।
প্রতি ফাল্গুনে ফুটবে আবার রক্তিম লাল,
রক্তিম লাল পলাশ বনের শাখায় শাখায়
দেখবো আবার ফুল হয়ে তারা ফুটলো কখন
ফুটলো কখন রক্তিম লাল হাজারে হাজার!
ফাল্গুনে এই শাখায় শাখায় হারানো সে-গান
একটি গানের সুর নিয়ে যাবো দিগি¦দিকে
শুনবো আবার হাজার পাখির কন্ঠে ও গান;
দেখবো যখন বিকেলবেলার আকাশে আগুন
রক্তমাতাল ফাগুন আবার পড়বে মনে
পড়বে মনে ধুলায় লুটানো ফুলগুলিরে
প্রতিদিনকার হাজার কাজের বিস্মরণে;
একটি গানের সুর যদি পাই কোথাও খুঁজে
জানবো সে -গান রক্তে গড়া সে আমার গান
ধুলায় লুটানো ফুল যদি পাই পথের পাশে
রক্তে-রাঙা ফুল যদি পাই ফাগুনে আবারÑ
জানবো সে-ফুল আগুন-ছাড়ানো আমার গানের।
পাথরের গড়া স্মৃতির মিনার নাইবা হলো
আমার মনের গড়া ঐ মিনার থাকবে জেগে।
একটি কথার ফুল যদি আমি কুড়িয়ে আনি
সে-ফুল যখন গুঁজবো আমার প্রিয়ার চুলে
স্মৃতির মিনার পড়বে তখন আমার মনে,
আমার কথার পাখিটি যখন নীলাকাশে
উড়বে তখন স্মৃতির মিনার পড়বে মনে