শরৎ সে তো ঘাসের হাসি বাতাস দুলে নাচে
শিশির ফোটা মুক্তো যেন কাচ লাগানো কাচে।
কাচের ভেতর শরৎ হাসে কাশের শাদা দাঁতে
দাঁত যেন নয় ভাতের ছবি দেয় বুলিয়ে হাতে।
শরৎ সে তো সদ্যতাজা পদ্যলেখার খাতা
দখিন বাতাস দেয় নাড়িয়ে সবুজ কচি পাতা।
কচি পাতায় শরৎ জাগে রঙ-বেরঙের ফুলে
মৌমাছি আর পাখপাখালী নাচতে থাকে দুলে।
শরৎ সে তো সবুজ ধানের মাতাল করা হাসি
মউ সুগন্ধে চারিদিকে সুখ সাগরে ভাসি।
সাগর ফেনা উপচে পড়ে ঢেউলাগা এই মনে
সাড়া পড়ে যায় আবারও ফুল ফসলের বনে।
শরৎ্ সে তো বকের সারি নীল আকাশের গায়ে
মখমলে ঘাস ঘাসের ডগা জল ধুয়ে দেয় পায়ে।
জলের তলে মাছের খেলা পিঠ তুলে যায় চলে
'হেমন্ত ওই আসছে দেখো' এই কথা যায় বলে।