ফিরছে অবন্তী, কেমন যেন পাখি পাখি লাগছে নিজেকে। বড্ড নিয়মের বেড়াজালে ছিল মন।
লবন মরিচের হিসেব কষে কবে যে প্রেম মরে গিয়েছিল টের-ই পায়নি।
ইচ্ছের ডানামেলে আজ সে উড়ে বেড়ায়, যেনো সদ্য কিশোরী এক!
.
নদী মরে গেলে উছলায় না ঢেউ তবুও ভরা যৌবনের দাগ থেকে যায় ক্ষীণ। সবাই জানে ঘর ফেরারী অবন্তী বেশ আছে,
শুধু অবন্তী জানে সে ভাল নেই, ভাল নেই।রাত নেমে এলেই গা কাঁপিয়ে জ্বর আসে তার, বৃষ্টি এলেই কেউ তার হাত ধরে ভিজিয়ে দেয় সেই পুরনো সময়ের মতো, তার মন পুড়ে, পুড়ে ভেতর বাহির।কি নিদারুণ ভাবে তাকে দ্বিখণ্ডিত করে তার ফেলে আসা অতীত!
একটা সাইন বা তিনটে শব্দে হয়তো পৃথক হয় ঘর, কিন্তু মন?
অবন্তী শুনছো আমায়?হুম তোমাকেই বলছি,
এসো সেই পুরনো তক্তপোশে যেখানে মিশে আছে চেনা অভিমানী ঘ্রান, আছে রেল লাইন ধরে হেঁটে যাবার চেনা হাতের স্পর্শ। হেরে হেরে জিতে বেঁচে থাকার চেয়ে জিতে জিতে মরে যাওয়াও অনেক সুখের।
এসো সেই পুরনো অবয়বে অশ্বত্থের তলে, যেখানে দাঁড়িয়ে আছে পুরনো প্রেম নতুন মোড়কে।