বেশ্যার উরুতে চুমু খেতে খেতে ঈশ্বর পুরুষ
যখন ভার্জিন ষোলোর ভজন শোনায়,
কেমন আদুরী বিড়ালের
মতোই ঘুমিয়ে পড়ে সমাজ!
পড়শী সুখলতা দি যখন সুখের প্রজাপতি
সেজে তেরো বছরের প্রেমের কীর্তন
শোনায়, তার চোখে
বয়ে চলে একশো একটি নদী। জানি, রোজ
সেই নদীতে ডুবে ডুবে বেঁচে থাকে
তেরো
বছরের প্রেম,
সেও জানে কামুক পুরুষের
চোখে খেলা করে অন্য এক আকাশ!
সবটুকু আগুন গিলে সে এখন ঠোঁটের কোণে
ঝুলিয়ে
রাখে সামাজিক হাসির ব্যাধি! তবুও
ভাঙ্গাচোরা সমাজ সুখী হোক, সুখী হোক।
সুখলতা দি তোমার কাজ কেবল পঙ্গু
সমাজটাকে সুখী করা। কারন, নির্লজ্জ
সমাজ দুঃখী হলে তুমি অনায়াসে নেমে
যাবে বেশ্যাদের কাতারে,
জানো তো, রাতের আঁধারে রাতজাগা
জোনাকিরা যত পূন্যবতী দিনের আলোয় ততটাই
দুর্গন্ধময়
সমাজ আবার বড্ড বেশি শুচিতা পরায়ন!
তুমি যখন আপাদমস্তক ঢেকে রাখো
চাকচিক্যের মোড়কে
তোমার জামদানির ভাঁজে ভাঁজে কেঁদে
মরে রাতের দ্বিপ্রহর। তবুও বধির সমাজ
সুখী হোক, সুখী হোক।
কার কবে কোথায়
কতটুকু আঁচল খসে পড়েছিল তা নিয়ে
সর্বত্রই উড়ে চেতনার স্ফুলিঙ্গ
শুধু কে কবে কতদিন অভুক্ত রয়েছে
রাতদিন----
সে খবরে তুমি -আমি-আমরা অন্ধ, বধির
চেতনাহীন!