টানা চার ঘন্টা ঝুম বৃষ্টি
আমি বাসস্টান্ডে,
মেঘের গর্জনে ভয়ে কাচুমাচু প্রায়_
বৃষ্টির ছিটেফোঁটা থেকে বাঁচতে
আমি বাসস্ট্যান্ডের চালার নিচে দাঁড়িয়ে
আত্মরক্ষার বৃথা চেষ্টা করছি।
মেঘ গর্জন করছে, এমন যেন
স্বর্গের অপ্সরী ঘুঙুর পরে নিত্য করছে,
ঘোর কালো অন্ধকারে_ বিদ্যুতের আলোয়
দেখেছি সেদিন, এক মায়া মুখ ।
হঠাৎ কানে ভেসে আসা সেই শব্দে
পিছনে তাকিয়ে দেখি_
পদ্মালোচনা ষোড়শি ভয়ে কাচুমাচু দাঁড়িয়ে,
দাঁতে দাঁত চেপে
নিজেকে নির্ভীক প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টায়।
তোমার সেই ভয়ার্তো নয়ন
আমায় মায়ায় ফেলেছিল।
এক পলকের একটু দেখাতে
হৃদয়ে যে দোলা জেগেছিল
তা প্রকাশের ভাষা আমার নাই।
শুধু জানি হৃদয়ের সেই বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের
স্রোতের মতো ভেসে আসা আপ্লুত
হৃদয়ের চেয়ে ছিলাম সেদিন
তব বদন পানে।
হৃদয়ে ডুকরে উঠেছিল হাজারো কথা
কথার কালকাকলিতে, প্রকাশের আবেশ জেগে ছিল যা
মৃদু ভয়ের আশ্ফলনে, ভুলে গেছিনু সকল কথা।
তোমার উপমা আর কিবা দিব!
ভেবেছিনু তুমি স্বর্গের কোন অপ্সরা এসেছ,
ভয়ার্ত এই আমাকে,
একটু সান্ত্বনা দিতে।
হঠাৎ বৃষ্টি থামল। আপালক দৃষ্টিতে কতক্ষণ
চেয়েছিলাম জানিনা, বাসস্ট্যান্ডের হাজারো লোকের ভিড়ে
তুমি হারিয়ে গেলে। খুঁজেছিনু তোমায় হাজারো বার, লক্ষ কোটি মানুষের ভিড়ে পাগলের মত খুঁজেছিনু।
ওই যে হারিয়ে ফেলেছি তোমায়,
আর পাইনি কোথাও খুঁজে। খুঁজেছি হাজারো তারার মাঝে সন্ধ্যা নদীর তীরে বসে।