আমার ভেতর থেকে একজন একাকী মানুষ হেঁটে যায়
তোমার নিদ্রার দিকে, তুমি তার যাত্রা, ব্যাকুলতা,
কাতর দৃষ্টির প্রতি উদাসীন, ঘুমের ভেতরে
মজ্জমান, লতাপাতা জড়ায় তোমাকে,
খরগোশ বুকের নগ্ন মদির উষ্ণতা
শোঁকে কিছুক্ষণ। তার যাত্রায় রোদ্দুর নাচে, বৃষ্টি পড়ে,
কখনো জ্যোৎস্নাও ঝরে। কেমন অচেনা পাখি ডাকে
তার দু’চোখের নিরালায়।
আমার ভেতর থেকে একজন একাকী মানুষ হেঁটে যায়
তোমার জাগরণের প্রতি, তার চুমু ঝরে অবিরল
যে পুষ্পিত জাগরণে। এখন সে তোমার নিদ্রার দিকে হাত
দিয়েছে বাড়িয়ে, নিশীথের ঘ্রাণময় বিছানায়
নিটোল ঘুমাও তুমি, তোমার নিদ্রার রাঙা জল
অত্যন্ত নিথর থেকে যাবে।
ভয় নেই, তোমাকে সে জাগাবে না; বুকে নিয়ে শীতরাত
তোমার রূপের হ্রদে ওজু করে চলে যাবে উড়িয়ে ফানুস
আকাঙ্ক্ষার। চিরকাল হৃদয়ের অভ্যন্তরে তার গভীর বনানী
আবৃত্তি করবে কিছু স্মৃতিময় বাণী।
যখন সবুজ লনে শিশুর মতোন সুখে গড়াবে সকাল,
কার্ডিগান গায়ে তুমি বারান্দায় নিশ্চুপ দাঁড়াবে,
তখন তোমার মনে হতে পারে একজন একাকী মানুষ
শীতল সিঁড়ির ধাপে নত মুখে নিঃস্ব বসে আছে কতকাল।
(প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে কাব্যগ্রন্থ)