বিকেল বেলা এখানে এসেই লোকটা কেমন
ভ্যাবাচ্যাকা। এত হৈ চৈ, অথচ কেউ কারও কথা
শুনছে ব’লে মনে হচ্ছে না। শব্দগুলো
ইট পাটকেলেত মতো ঠোকাঠুকি করছে অবিরত।
লোকটা শত চেষ্টা ক’রেও কারও দৃষ্টি
ওর দিকে ফেরাতে না পেরে
মুখ বুঁজে দাঁড়িয়ে রইল এক কোণে। সারা মুখে ভর
সন্ধেবেলার
অন্ধকার, মাথার ভেতর অন্ধ পাখির ঠোকর।
এখনই অন্ধ বন্ধ কোনো না পাখা,
লোকটা নিজেকে প্রবোধ দেয় চারপাশে
স্তব্ধতার মনোজ জাল ছড়িয়ে। লোকটার মাথা
ক্রমাগত মেঘ স্পর্শ করার বাসনায় স্পর্ধিত হয়।
ওদের কিছু কথা শোনাবার ছিল লোকটার,
কিন্তু কেউ কোনো কথা শোনার
ব্যগ্রতাকে নাচায়নি চোখের তারায়
পরিণামহীন হৈ-হল্লাই ওদের অধিপতি।
লোকটা আখেরে বলতে-চাওয়া কথাগুলো
বুকের ভেতর গুছিয়ে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দাঁড়াল এক
ভিড়
গাছপালার মধ্যে। ওর মুখে মুক্ত উচ্চারণ; গাছ, পাখি,
নির্জনতা আর বাংলা লিরিকের মতো চাঁদ তার শ্রোতা।
(হরিণের হাড় কাব্যগ্রন্থ)