না, আমি ইঁদুর-দৌড়ে শরিক হবো না, কারো কোনো
প্ররোচনা কিংবা ছলাকলা
পারবে না আমাকে নামাতে সেই হুড়োহুড়ি, সেই পড়ি-মরি
নির্লজ্জ খেলায়। হেঁটে যাবো
একান্ত নির্জন প্রতিযোগীহীন পথে। ভোলা মন যা চাইবে
যখন, করবো সেই কাজ মহানন্দে তখন-কখনো
বটের ছায়ার বসে দেখবো পাখির
কোমল প্রণয়লীলা, কখনো-বা ভাসমান দেঘ।
না, আমি ইঁদুর-দৌড়ে নেই। যে উদাস
বাউলের ডেরা
অন্তরে আমার, সে আমাকে একতারা
বাজিয়ে শোনাবে গীতিমালা, দেবে তুলে
আমার ইচ্ছুক হাতে অরূপ ছিলিম, চতুর্দিকে
চকিতে উঠবে নেচে আরশি নগর। কে আমার
মনের মানুষ ব’লে খোলা পথে হেঁটে যাবো একা,
ব্যাকুল ডাকবো তারে, পাবো না উত্তর। একতারা
বেজে চলে পথের ধুলোয় আর গাছের পাতায়, মেঘলোকে;
শহুরে বাউল হাঁটে একাকী নিজের পথে, যেতে হবে হেঁটে।
(ভাঙাচোরা চাঁদ মুখ কালো করে ধুকছে কাব্যগ্রন্থ)