অকস্মাৎ সে-রাতে নতুন ক’রে পেলাম তোমাকে
হৃদয়ের খুব কাছে। প্রত্যাশা ছিল না,
তবু আমার ঘাটে ভিড়ল আশ্চর্য তরী এক
অপরূপ সম্ভার সমেত। শুধু বিস্ময়ে তাকাই নিষ্পলক
সারাক্ষণ, ফেরাতে পারি না দৃষ্টি কিছুতেই। তুমি,
তরণীর পরম ঐশ্বর্য, নেমে এলে ধীর,
গৌর পদক্ষেপে।
কখন যে আমার পায়ের কাছে এসে বসলে সবার
অগোচরে, স্বপ্নবিষ্ট আমি
খেয়ালই করিনি; দেখি আমার উরুতে
স্থাপিত তোমার মুখ। তোমার অতল চোখ দু’টি
কখনো আংশিক খোলা, কখনো নিবিড় নিমীলিত।
মাঝে মাঝে
চোখ মেলে দেখছ আমাকে, যেন খোদ ভালোবাসা
তাকাচ্ছে আমার দিকে সম্পূর্ণ নতুন ক’রে গাঢ়
অনুরাগে, আমার দু’ হাতে
তোমার অতুলনীয় মুখ, বুঝি কোনো শায়েরের
অঞ্জলিতে অনুপম প্রস্ফুটিত রূঁপসী গজল।
আকাশে ছিল কি চাঁদ? সপ্তর্ষিমগুল?
বলতো কী ক’রে বলি? আমি তো তোমাকে ছাড়া আর
কিছুই দেখি নি স্পষ্ট ভেতরে বাহিরে।
সৌন্দর্যের কসম, তোমাকে
এর আগে এমন সুন্দর আমি কখনো দেখি নি,
যদিও সৌন্দর্যে লগ্ন আমার সমুখে দাঁড়িয়েছ,
বসেছ ঘনিষ্ট হয়ে বহুদিন, বহু
মুহূর্ত কেটেছে আমাদের আলিঙ্গনে, ওষ্ঠের নিলনে।
(তুমিই নিঃশ্বাস তুমিই হৃৎস্পন্দন কাব্যগ্রন্থ)