গোধূলির ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে
কে যেন ডাকে আমাকে, বলে-
আর নয় নিষ্ক্রিয়তার মদে চুর হ’য়ে
বসে-থাকা,
আর নয়, আফিমে বুঁদ হ’য়ে ঝিমুনি।
এবার শরীরে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে
উঠে দাঁড়াও; স্থবিরতার পাথর হটিয়ে
এবার সামনে পা বাড়াবার পালা।
যারা আলো-তাড়ানো অন্ধকারের
বিরুদ্ধে লড়ছে,
যারা আগাছাগুলো উপড়ে ফেলে মানুষ মানুষে
সম্প্রীতির সাঁকো গড়ছে, যারা
আগামী শতাব্দীর দিকে মুখ রেখে
করছে নতুন সভ্যতার নান্দীপাঠ,
যারা চাষ করছে মানবতার পতিত মাঠ,
এসো আমরা সবাই
হাত লাগাই তাদের কাজে। এসো আমরা
প্রতিক্রিয়ার শ্যাওলা-ছাওয়া ভিত কাঁপিয়ে গান গাই।
সময়ের ঘাড় ধরে যারা নিয়ে যেতে চাইছে
প্রস্তর যুগে, এসো আমরা আমাদের দিকে ধেয়ে-আসা
সেসব পাথর ফেরত পাঠাই
চির স্থবিরতার দিকে। আমাদের কণ্ঠে
প্রশ্রয় দেবো না পরাজয়ের আঁধার-আক্রান্ত ধুসরতাকে,
আমাদের গীতধারায় আশ্রয় পাক জয়ধ্বনি।
ওরে তোরা সব জয়ধ্বনি কর বলে আমরা
এগিয়ে যাবো, এবার আমাদের সামনে পা বাড়াবার পালা।
(আকাশ আসবে নেমে কাব্যগ্রন্থ)