এতদিনে জেনে গেছি সুসময় ভীষণ অস্থির।
এখন তো বারংবার শবযাত্রা, কবরখানায়
একা একা ব’সে থাকা মৃত্যুগন্ধময় নিরালায়;
এখন পাবো না আর একটিও মুহূর্ত স্বস্তির।
ক্রূর অন্ধকারে আছি তুমিহীন অত্যন্ত একেলা।
কর্কশ গজায় দাড়ি, নখ বড়ো বেশি বেড়ে যায়,
গেন্থেও অমনোযোগী, প্রিয় বন্ধুবর্গের ডেরায়
প্রায়শ অনুপস্থিত আমি, দেখি মকরের খেলা।
এ-খেলায় ছিন্নভিন্ন হতে থাকি সকল সময়।
থামের আড়ালেও শক্রু চতুষ্পার্শ্বে জন্মান্ধ জল্লাদ,
কী করে বাঁচবো তবে? বেদনার্ত আমার হৃদয়।
জন্তুর বিষাক্ত দাঁতে বিদ্ধ, তবু হবো না উন্মাদ;
এখনো তো জীবনের প্রতি আমি কী দীপ্র উৎসুক,
সহায় তোমার স্মৃতি, ভোরস্মিত কবিতার মুখ।
(মাতাল ঋত্বিক কাব্যগ্রন্থ)