আমি কি খাইনি ভোরে এবং দুপুরে নীলিমার
রুটি আর খাইনি কি পেট পুরে নক্ষত্রের ভাত
চন্দিমার ঝোল দিয়ে? আঁধারের পুরনো মদিরা
করিনি আকণ্ঠ পান? কখনো চাঁদের নাও কাঁধে
বয়ে পথ চলি, কখনোবা সুরুজের খব কাছে
গিয়ে দগ্ধ হয়ে যাই আপাদমস্তক। সামুদ্রিক
হাঙরের সঙ্গে যুঝে রক্তাক্ত শরীরে খুঁজে পাই
একটি প্রবাল-দ্বীপ, যা চকিতে শূন্যে মিশে যায়।
তান্ত্রিকের মতো ক্ষণে ক্ষণে করি মন্ত্র উচ্চারণ
গহন অরণ্যে কিংবা পর্বত চূড়ায় মগ্নতায়
এবং সুফীর মতো নাচি জিকিরের ছন্দে আজো
সারারাত। এই সবকিছু কবিতারই জন্যে, জানি;
প্রেমিকা ও কবিতায় মানি না প্রভেদ। প্রিয়তমা
এখন অধরা নয়, দেবে নাকি ধরা প্রকৃত কবিতা?
(তোমাকেই ডেকে ডেকে রক্তচক্ষু কোকিল হয়েছি কাব্যগ্রন্থ)