কেউ কি এসে কবির এমন ক্ষয়া জীবন-গোধূলিতে
গান গেয়ে আজ পুঁতবে খুঁটি কবির প্রাণের খোলা ভিতে।
কৃষ্ণপক্ষে আজকে যাদের জীবন কাটে স্মৃতি নিয়ে,
কে-বা চাইবে সুখী হ’তে স্মৃতির জালটি ছিঁড়ে দিয়ে?
ক’দিন ধ’রে মুষড়ে আছি একলা নিজের ছোট ঘরে,
ভুগছি আমি, কাঁপছি এবং পুড়ছি বেজায় কালো জ্বরে!
কেউ কি আমায় বলতে পারো শান্তি কোথায় পাবো কিছু?
কোথায় যেতে হবে না আর ক’রে আমার মাথা নিচু?
যেদিন থেকে ভাবি না আর তোমার মুখের হাসি, কথা
মনের গুহায় গুমরে মরে অনেক কথা, রাঙা ব্যথা।
হয় না বলা সেসব কথা কারো কাছেই ডেকে ডুকে,
তোমার কথা স্মৃতির পাতায় নিয়েছিলাম সুখে টুকে।
পরে যেদি আমায় হেসে প্রশ্ন করো, ‘গ্যাছো ভুলে?’
নীরব থেকে দৃষ্টি দেবো হরিণ-চোখে, কালো চুলে।
জানি আমি অনেক কথাই বলার জন্যে বলি শুধু,
হৃদয় জুড়ে অনেক সময় মরুর বালি করে ধুধু।
(ভাঙাচোরা চাঁদ মুখ কালো করে ধুকছেকাব্যগ্রন্থ)