সূর্যাস্তে পাখির ডানা ক্লীর ছবি, দু’চারটে গাছ
অশ্রুপাত করে, কালো মখমলী নিঃসঙ্গ বেড়াল
কুড়ায় আলস্যকণা। নিরালা চায়ের শূন্য কাপ
টেবিলের অত্যন্ত নেতানো তাপ নেয়, এলোমেলো
খাতার পাতায় দীর্ঘশ্বাস; হাওয়া বয়, বল পেন
মৃতের মতোই চিৎ হয়ে শুয়ে আছে, বুকে বোবা
বহুক্ষণ, চক্ষু স্থির, যেন আমি দেখি না কিছুই
কিছুই যায় না শোনা। সন্ধ্যায় বস্তুত আমার
কোথাও যাবার নেই। ব্যথিত দোয়েল ফিরে গেছে,
কালপুরুষের প্রত্যাখ্যান বেজে ওঠে স্তব্ধতায়।
কোথাও যাবার নেই, একটি অচিন পাখি খুব
আসে আর যায়, তার ছায়া যেন ফিসফিসে স্বরে
দেয়ালকে কিছু বলে। তারপর আমার উপর
মধ্যরাতে ঝুঁকে থাকে সমিধলোলুপ নীরবতা।
(হরিণের হাড় কাব্যগ্রন্থ)