মাথায় ভাবনা নিয়ে খুপরিতে আছি শুয়ে এই
নিজের আঁধারে লগ্ন, দেখি
ময়লা দেয়ালে আঁকা দুঃখের নিভৃত ফুল আর
মনকে প্রবোধ দিই রাত্রিদিন দুর্দশার ঢাক
বাজিয়ে কী লাভ?
প্রাণধারণের কত অমাবস্যা, কত না পূর্ণিমা,
বৈশাখের দীপ্ত দিন, শ্রাবণের সন্ধ্যা সুনিবিড়-
জীবনের এই রূপান্তর, আবর্তিত ইতিহাস,
ব্যক্তি-সমাজের চেতনায়
সোনার রোদ্দুর দিয়ে বোনে
প্রত্যহ স্বপ্নের পাড় বিমুগ্ধ খেলায়।
আত্মদান স্মৃতি আর সম্প্রীতির নিবিড় পূর্ণিমা
মানুষে মানুষে পড়ে আশ্চর্য সংলাপ
জীবনের মতো ব্যাপ্ত একটি সিম্ফনি
ঝরায় ঝরনার পানি
ফোটায় বাগানের ফুল স্বপ্নে জাগরণে।
দ্যাখো এই ঘরে জ্যোতির্ময় হতে পারে আজও,
আবার আমার আত্মা নতুন জন্মের প্রতিভায়
হতে পারে নিবিড় বাগান
তোমার দৃষ্টির তারাময় প্রস্রবণে।
যখন নিরুদ্ধ হতাশায় জীবনকে মনে হয়
একমুঠো বালি আর আকাশের চাঁদ
প্রতিভাত হয়
ভিক্ষুকের ভাঙা পাত্র বলে,
তোমার স্বপ্নের দীপ জ্ব’লে ওঠে নরকে আমার-
বুভুক্ষায় ঝরে
চকিতে স্বর্গের কান্তিবিগলিত দ্রাক্ষার মদিরা।
(রৌদ্র করোটিতে কাব্যগ্রন্থ)