ইদানীং মানুষের মতো কিছু বাঁদর দেখেছি,
অবিকল বাঁদরের মতো কিছু বিহ্বল মানুষ।
বাহিরকে করে ঘর ওরা আর ঘরকে বাহির;
রাজপথে, ফুটপাতে, বাস টার্মিনালে, ঘাসময়
পার্কে আর সিনেমায় জমকালো বাঁদরের ভিড়
দেখে করতালি দিতে সাধ জাগে। ইচ্ছে হয় ডেকে
সবাইকে বাতাসা খাইয়ে দিই শান্ত গোধূলিতে
বাঁদরের চেয়েও অধিক বাঁদরামি দেখে আজ।
কিছু-কিছু অতিশয় প্রকৃষ্ট বাঁদর অন্তরালে
সূক্ষ্ম কাজ করে চলে অবিরত, ঢালে লম্বা কানে
নানান ঘোরালে কথা, খাল কেটে আনে কুমিরের
বংশধর, কোনো বাঁদর সাজানো মঞ্চ থেকে
মঞ্চান্তরে অপরূপ ভেংচি কাটে, লাঙুলের শোভা
দেখিয়ে বেড়ায় আর কতিপয় ব্যথিত বাঁদর
বিচ্ছেদের পদ্য লেখে এবং তুখোড় বাঁদরেরা
কলম বাগিয়ে ইস্ বানায় থীসিস মজাদার
(হোমারের স্বপ্নময় হাত কাব্যগ্রন্থ)