আমার ছেলেটা জ্বরে ধুঁকছিলো,জ্বলছিলো তার
চোখ দুটো, টকটকে কৃষ্ণচূড়া। কী ভেবে নিলাম
ছোট হাত মুঠোর ভিতর আর ছুঁয়ে দেখলাম
কপালটা যাচ্ছে পুড়ে, হাঁপাচ্ছে সে এবং মাথার
ব্যথায় কাতর খুব। শুকনো ঠোঁট পাখির ছানার
দুরু দুরু বুক যেন, টের পাই। বাইরে উদ্দাম
হাওয়া, দরজায়, জানালার দিচ্ছে হানা অবিরাম।
কেবলি শিউরে উঠি ডাক্তারকে ডাকবো আবার?
কৃষ্ণচূড়া তাকালো আমার চোখে। “খুব বেশি তোর
কষ্ট হচ্ছে খোকা? মাথাটা বুলিয়ে দিই, ঘুমো তুই”
বললাম। সাড়া শব্দ নেই কোনো, বেড়ালটা হাই
তোলে বসে এক কোণে। নিদ্রোহীন ভাবি, হায় ভোর
কি হবে না আর? পারবো না ওর যন্ত্রণা কিছুই
নিতে আমি! যন্ত্রণায় আমরা নিঃসঙ্গ সর্বদাই।
(বিধ্বস্ত নিলীমা কাব্যগ্রন্থ)