যখন দাঁড়াও তুমি রাত্তিরে কৃপণ বারান্দায়
নিরিবিলি, খোলা আকাশের তারাগুলি বিস্ফারিত
চোখে দ্যাখে তোমাকে এবং ভাবে-কে এই মানবী
এমন স্বর্গীয় রূপ নিয়ে আছে ধূসর জমিনে?
‘অতিশয়োক্তির অবকাশ নেই’, মেঘ তারাদের
কানে-কানে বলে। আমি মেঘ থেকে তৎক্ষণাৎ চোখ
সরিয়ে নক্ষত্রদের কৃতঞ্জতা জানাই আমার প্রেমিকার
উদ্দেশে প্রশস্তি রচনার জন্যে কৃপণ সমাজে।
আমার প্রাণের কথা নক্ষত্র বলেছে অবিকল,
মনে মনে জানি আর যে যাই বলুক আমি তাকে
সবচে’ রূপসী ব’লে করি পান বিষণ্ন সৌন্দর্য
তার সঙ্গোপনে; উপরন্তু যার মনের বৈভব
সব বিবেচনাকে ছাপিয়ে ওঠে, তার কাছে রোজ
যাওয়া যায় সব বাধা, ঝড়জল হেলায় উজিয়ে।
(তুমিই নিঃশ্বাস তুমিই হৃৎস্পন্দন কাব্যগ্রন্থ)