কী করে প্রকাশ করবো আমার আজকের
অনুভূতি? কাল রাত্তিরে যন্ত্রণার ত্রিশূলে বিদ্ধ হয়ে
শেষ প্রহর পর্যন্ত নির্ঘুম কাটিয়েছি, যতক্ষণ না
মুয়াজ্জিন ফজরের আজানের সুর ছড়িয়ে দিলেন
ঘুমন্ত পাড়ায়। আজ আমি পদ্মফুলের অজস্র
পাপড়ির আলিঙ্গনে বাঁধা পড়েছি, আমার সকল
রোমকূপে আনন্দধারা, এই মুহূর্তে আমি বসন্ত বাহার;
কেননা, দু’সপ্তাহ পর তোমার কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়েছি।
এই লক্ষ্মীছাড়া কবিকে তুমি রক্ষা করলে
কথার ঝরনাতলায়। যে অভিমানের জ্বালাধরানো
ক্রূর শুঁড়গুলি ক্ষত তৈরি করছিল হৃদয়ে, যেসব
এখন শুকনো পাতার মতো খুলে গ্যাছে,
এখন আমি স্নিগ্ধ সরোবরে সাঁতার কাটছি আর তোমার দিকেই
ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে মাছের মতো আমার দু’টি স্পন্দিত হাত।
(তোমাকেই ডেকে ডেকে রক্তচক্ষু কোকিল হয়েছি কাব্যগ্রন্থ)