আজ প্রত্যুষ ঘুম ভাঙতেই আমার দৃষ্টির
দিগন্তে তোমার মুখের চন্দ্রোদয়। তুমি ফিরে আসছো
ভাবার সঙ্গে সঙ্গে প্রসন্নতার আবির ছড়িয়ে পড়ে
সারা ঘরে, বইয়ের র্যাবকে, কবিতার খাতায়,
আমার দেহমনে। আজকের দিন ওস্তাদ বিলায়েৎ খাঁর
সেতারের আলাপের মাধুর্য হয়ে ওঠে। রাত বাড়তেই অধৈর্য
আমি তোমাকে দু’বার টেলিফোন করি। লাইনের
ব্যস্ততায় সঙ্কোচ ও লজ্জায় অন্ধডোবায় হাবুডুবু খাই।
এই শহরের সবচেয়ে তুখোড় সাংবাদিক, যার
নখদর্পণে সারা দেশের নাড়ি-নক্ষত্র, আমাকে
জানাতে পারলেন না তোমার প্রত্যাবর্তনের খবর; মেঘ, পলাশ
এমন কি কোনো রাতজাগা পাখিও বলতে পারলো না তুমি এলে
কি এলে না। তবুও কি গাইতে হবে ওদের বন্দনাগীতি? এখন আমি
উদয়শঙ্করের নটরাজ। অন্তর্গত ধ্বংস ও নির্মাণে ভয়ঙ্কর চঞ্চল।
(তোমাকেই ডেকে ডেকে রক্তচক্ষু কোকিল হয়েছি কাব্যগ্রন্থ)