হায়রে মন, না জেনে আমি, আপন খবর
তালাশ করি চেতন গুরু; আন্ধারে হোঁচট খেতে-খেতে
জনমভর দেখলাম না লালনেরে। হঠাৎ
কীসের ঝলক দিলো দিলে, শুনি গাঢ় মেঘের
আড়াল থেকে লালন কয়, ‘পাঠাস নাই তুই আমার
নামে পত্র কোনো; অনেককাল হেলার কাদায়
রেখেছিস ফেলে। কোতায় পাবো অচিন ডাকটিকিট?
কোথায় তেমন নীল ডাকরাক্স? কোথায় আপনি সাঁই?
দোতারায় আলো-কুসুম ফুটিয়ে লালন
বলেন উদাস কণ্ঠস্বরে, ‘ফোটাতে চাস আনন্দকুসুম
শূন্য ডালে? তবে কেন একলা এলি আমার সন্ধানে জেল্লা-অলা
পোশাক পরে? হৃদয়রতন কোথায় রেখে এসেছিস কোন্
ঝরা পাতাদের কবরে? গৌরীকে ফেলে এসে সামান্যে
তারার হাটে, ওরে ক্ষ্যাপা, তুই অসামান্যের সুর বাজাবি?’