একটি নকশা-কাটা ঘুড়ি হাওয়া আর
মেঘে মেঘে উড়তে উড়তে
চকিতে লাটাই-লগ্ন গতিময় সুতো প্রতিদ্বন্দ্বী
লাটাবাজের তীক্ষ্ণ সুতোর আঁচড়ে
ভাসতে ভাসতে কোথায় যে কত দূরে
লীন হ’ল, জানতে পারেনি নকশা-কাটা সেই ঘুড়ির মালিক।
বেদনার্ত সেই লোক ভেবে, জেগে তিন দিনরাত
হারানো ঘুড়িটি সৃষ্টি করেছিল স্বপ্নাদ্য আদলে
হয়তো-বা, অপরূপ এক নকশা ছিল
ঘুড়ির সত্তায়। ঘুম নেই চোখে তার, নিরানন্দ
বসে থাকে এক কোণে, কী-যে ভাবে আকাশকুসুম,
নিজেও কি জানে সেই লোক? শুধু বয় হাহাকার।
নিজেকে পীড়িত করে প্রায়শ উপোসে, দিনরাত
কী-যে ভাবে মানুষটি, বোঝা দায়। কোনও এক
অমাবস্যা-রাতে, কী আশ্চর্য, নিরালোক ঘর তার
হয়ে ওঠে জ্যোৎস্নাময়, শিরায় শিরায়
ছন্দ নেচে ওঠে, হাত সৃষ্টির দোলায় মশগুল
এবং অনিন্দ ঘুড়ি জন্ম নিতে থাকে।
(ভাঙাচোরা চাঁদ মুখ কালো করে ধুকছেকাব্যগ্রন্থ)