সজীব আঠারোতেই রুক্ষ, তামসিক
প্রতিক্রিয়াশীলতার ব্যাকুল খাদেম,
প্রট্রোডলারের
ঝলকানি-লাগা
খালিশ, নিরেট
ভোগবাদী নেতাদের বাক্চমকে আবিষ্ট,
নাৎসী-আনুগত্যে নতজানু সর্বক্ষণ।
তার করোটিতে
বৃষ্টিপাত-পরবর্তী রামধনু নেই,
জ্যোৎস্নাবিহ্বলতা নেই। সুদূর, গুমোট
আইয়ামে জাহেলিয়াতের
অন্ধকার মাথায় ঘা-ভর্তি
গ্রীষ্মের কুকুর যেন, জিভ বের ক’রে
হাঁপায় কেবল।
সূর্যোদায়-রহিত মনের আস্ফালনে
ধুন্ধুমার ফুঁ দিয়ে নেভায়
মঙ্গল প্রদীপগুলি যখন তখন আর প্রগতির ঋদ্ধ গ্রন্থমালা
আগুনের বুকে ছুঁড়ে ফেলে
হাত সেঁকে নেয় ঘটা ক’রে
উঠতে বসতে করে কার্ল মার্কস-এর মুণ্ডপাত।
শহরের ঠেঙাডে প্রহরে গর্দানের রোঁয়া-খাড়া
নেকড়ের মতো ঘোরে রাস্তায় রাস্তায়,
মারণাস্ত্র হাতে মধ্যরাতে দমাদম
লাথি মারে শ্রীমন্ত শুভ-র শান্তিখচিত দরজায়।
(হরিণের হাড় কাব্যগ্রন্থ)