প্রতিদিন কত কিছু চোখে পড়েঃ পথঘাট, যান,
এবং দোকানপাট, ঝকঝকে, মানুষের ভিড়,
রেস্তোরাঁ, শ্যামল পার্ক, নৌকোময় শান্ত নদীতীর
চিড়িয়খানার বন্দী পশুপাখী, পুরোনো অর্গান।
পথে কৃষ্ণচূড়ার বিদ্রোহ, একজন বর্ষীয়ান
নিঃশব্দে পোহান স্মৃতি, তাঁর গলকস্বলের ভাঁজে
চুমু খায় ভোরবেলা; বেহালাবাদক মাঝে মাঝে
দেখা দেয়, নোংরা গলিটাও হয়ে ওঠে ঐকতান।
দৃশ্যে পরেও দৃশ্য, ভিন্ন ভিন্ন, কেমন সুদূর
অগোচরে থেকে যায়। কল্পনায় জাগে দীপাবলি,
খৃষ্টপূর্ব কোনো কুমারীর হস্তধৃত পদ্মকলি,
মায়াবী মানস হংস, সরোবর; বিপুল বৈভবে
জেগে ওঠে সামান্যের অবয়ব কখনো বা, তবে
হে মেয়ে তোমাকে স্বপ্নে দেখাটাই সবচে মধুর।
(মাতাল ঋত্বিক কাব্যগ্রন্থ)