ভাবিনি কখনো আগে এরকম হবে।
এরকম ব’লে আমি ঠিক
কী বোঝাতে চাই, খুব সাবলীলভাবে
বলা মুশকিল।
দেখতো আমার মধ্যে আজ
আশ্চর্য কিছু কি পাও? মানে
এরকম কিছু যা দেখলে অকস্মাৎ
চমকে উঠতে হয়?
না, আমি আমার এই চেনা মুখমণ্ডলের কথা
বলছি না। আমার দু’চোখ
অক্ষিকোটরের ভেতরেই আছে, নাক
নাকের জায়গায় ঠিক। ঠোঁটেরও হয়নি স্থানান্তর।
বলা যায় খেয়ে দেয়ে নিত্য দাড়ি কামিয়ে এবং
স্বপ্ন দেখে দু’দিন আগেও যা ছিলাম, তা-ই আছি।
তবে কি স্বতন্ত্র কোনো প্রগাঢ় আবীর
দিয়েছে রাঙিয়ে আজ আমার গহন মর্মমূল?
নইলে কেন আমি
আমার ভিতরে বাদশাহী আমলের ঝাড় লণ্ঠনের শোভা
এবং ঝুলন্ত উদ্যানের অন্য বৈভব দেখে
নিজেই আটকে থাকি বিস্ময়ের ধু ধু রশ্মিজালে।
সরোদ বাজাতে আমি জানিনা, তবুও
সরোদের মতো বেজে ওঠে অস্তিত্ব আমার আর দেখি
আমার ভেতর থেকে বিশ বছরের যুবক বেরিয়ে এসে
জ্যোৎস্নার ঝালর ছিঁড়ে বন্ধ দরজার দিকে যায়।
(অস্ত্রে আমার বিশ্বাস নেই কাব্যগ্রন্থ)