তরুণ উজ্জ্বল তিনজন কবি গাঢ় সায়াহ্নকে
ঝাঁঝালো দুপুর করে আমার পড়ার ঘরে এসে
বলে, ‘ওরা আপনার দিকে ছুঁড়েছে বিস্তর কাদা
খোলা পথে শাঁসালো মণ্ডপে; আমরা তা কিছুতেই
আর মেনে নেবো না, জবাব দিতে চাই এই নোংরা,
ক্লিন্ন আচরণটির। স্পষ্টত ওদের চোখে ছিল
উষ্মা আর বেদনার ঈষৎ গোধূলি। আমি হেসে
কবিতা ঢেউয়ে ভেসে চকিতে উত্তর-আধুনিক।
আমার পড়ার ঘরে তিনজন তরুণ কবির অস্তমিত
ক্ষোভ ভালো লাগে, জমে ওঠে দিব্যি ষড়জে নিখাদে
আলাপ এখনকার কবিতা বিষয়ে। ওরা নিলে
বিদায় ফুরফুরে মনে, উদার আকাশে মগ্ন হই,
নক্ষত্রপাড়ার গুঞ্জরণ শুনি, তার কথা মনে
পড়ে; ভাবি, কাদাতেই ফুল ফোটানো আমার ব্রত।
(তোমাকেই ডেকে ডেকে রক্তচক্ষু কোকিল হয়েছি কাব্যগ্রন্থ)