শামসুর রাহমান

Shamsur Rahman

শামসুর রাহমান
জন্ম তারিখ ২৩ অক্টোবর ১৯২৯
জন্মস্থান ঢাকা, বাংলাদেশ
মৃত্যু ১৭ অগাস্ট ২০০৬

কবি শামসুর রাহমানের (Shamsur Rahman) জন্ম ২৩ অক্টোবর ১৯২৯ তারিখে পুরনো ঢাকার মাহুতটুলি এলাকায় নানাবাড়িতে। বাবা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী ও মা আমেনা বেগম। শামসুর রাহমানের ডাক নাম বাচ্চু। পৈতৃক বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামে। ১৯৫৫ সালের ৮ই জুলাই কবি শামসুর রাহমান জোহরা বেগমকে বিয়ে করেন। কবির তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। কবি শামসুর রাহমান ১৯৪৫ সালে পুরনো ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৪৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং তিন বছর নিয়মিত ক্লাস করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর মূল পরীক্ষা দেননি। ১৯৫৩ সালে পাস কোর্সে বিএ পাশ করে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এমএ (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও শেষ পর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। শামসুর রাহমান বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। জীবদ্দশাতেই তিনি বাংলাদেশের প্রধান কবি হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছিলেন। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগ, তথা পঞ্চাশের দশকে তিনি আধুনিক কবি হিসেবে বাংলা কবিতায় আবির্ভূত হন এবং অল্প সময়ের ভেতরেই দুই বাংলায় (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম বাংলায়) কবি হিসেবে পরিচিতি পান। আধুনিক কবিতার অনন্য পৃষ্ঠপোষক বুদ্ধদেব বসুর 'কবিতা' পত্রিকায় 'রূপালি স্নান' কবিতাটি প্রকাশিত হলে কবি হিসেবে শামসুর রাহমান সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরবর্তীতে উভয় বাংলাতেই তার শ্রেষ্ঠত্ব এবং জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি নাগরিক কবি, তবে নিসর্গ তাঁর কবিতায় খুব কম ছিলো না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তার দুটি কবিতা খুবই জনপ্রিয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি মজলুম আদিব (বিপন্ন লেখক) ছদ্মনামে কলকাতার বিখ্যাত দেশ ও অন্যান্য পত্রিকায় কবিতা লিখতেন। শামসুর রাহমান-এর প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থের সংখ্যা ৬৬ টি। তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ 'প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে' (১৯৬০) । তার উল্লেখযোগ্য কাব্য গ্রন্থ হলো - রৌদ্র করোটিতে (১৯৬৩), বিধ্বস্ত নীলিমা (১৯৬৭), বন্দী শিবির থেকে (১৯৭২), বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে (১৯৭৭), খণ্ডিত গৌরব (১৯৯২) ইত্যাদি। কবি শামসুর রাহমান জীবনে বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক, জীবনানন্দ পুরস্কার, আবুল মনসুর আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার, মিতসুবিসি পুরস্কার (সাংবাদিকতার জন্য), স্বাধীনতা পদক, ও আনন্দ পুরস্কার। এছাড়াও ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করে। তার ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গুগল তাদের হোমপেজে শামসুর রাহমানের গুগল ডুডল প্রদর্শন করে তার জন্মদিন উদযাপন করে। কবি শামসুর রাহমান ২০০৬ সালের ১৭ই আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৩৫ মিনিটে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


এখানে শামসুর রাহমান-এর ১০৮২টি কবিতা পাবেন।

   
শিরোনাম মন্তব্য
১৪০০ সালের সূচনায়
৩১৩, তুমি ফিরে এসো
অগ্নিপথ
অগ্নিবর্ণ এক ঘোড়া
অঙ্গীকার
অঙ্গুরি এসেছ তুমি
অচেনা নয়
অজানা পথের ধুলোবালি
অত্যন্ত অস্পষ্ট থেকে যায়
অথচ করোনি মাথা নত
অথচ তোমার মধ্যে
অথচ দরজা থেকে
অথচ নিজেই আমি
অথচ বেলা-অবেলায়
অদৃশ্য ছোরা
অনাথ আশ্রমে
অনিবার্য ঘরে ফেরা
অনুবাদ
অনুস্মৃতি
অনেক শতাব্দী জুড়ে
অন্ধকার থেকে আলোয়
অন্ধকারের কেল্লা হবে বিলীন
অন্য কিছু
অপচয়ের স্মৃতি
অপদার্থের গান
অপরাধী
অপরূপ চিরন্তন ঘ্রাণ
অপরূপ হাত
অপ্রেমের কবিতা
অব্যক্ত থেকে যায়
অভিমানী বাংলাভাষা
অভিলাষ
অভিশপ্ত নগরের ঠোঁট
অভিশাপ দিচ্ছি
অমন তাকাও যদি
অর্ফিয়ূস
অলীক আশার বাণী
অলৌকিক আলোর ভ্রমর
অলৌকিক আসর
অশনি সঙ্কেত
অসামান্য তিথি
অসিত উত্থানে
অসুখ
অসুস্থ ঈগল নীলিমায়
অস্তিত্বের তন্ময় দেয়ালে
অস্ত্রে আমার বিশ্বাস নেই
অ্যাকোরিয়াম, কয়েকটি মুখ
আইসক্রিম
আকাশ আসবে নেমে
আকাশ এমন দ্রুত কেন কালো