তুমি তো আমার নও, অন্য কারো। অন্য কারো রাজত্বের অধিবাসী তুমি।
অতীব দুর্বোধ্য এক বর্ণমালা ব্যবহৃত সীমান্তের প্রস্তর ফলকে
এবং ঈর্ষার ঘন কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে সুরক্ষিত রেখেছে সে ভূমি—
এগোলে এক পা কাছে বন্দুকে বিদীর্ণ হয় বনভূমি চোখের পলকে।

দূরের পাহাড় থেকে দেখি আমি সেই দেশ সবুজের জামায় যুবতী,
সেখানে কুটিরগুলো উজ্জ্বল খড়ের চুল ধুয়ে নিচ্ছে সোনালি রোদ্দুরে,
ইঁদারায় স্নিগ্ধ জল, অন্নে স্বাদ অমৃতের, আলিঙ্গনে সহজ সম্মতি—
পথিকের মনে হয় এখানেই মিশে গেছে পৃথিবীর দীর্ঘ পথ ঘুরে।

প্রবেশের অধিকার নেই। তবে কি গোপনে, অন্ধকারে পেরুবো সীমানা?
কাঁটাতারে বিক্ষত শরীর নিয়ে অতি সন্তর্পণে ঘা দেব তোমার ঘরে?
কিংবা হাতে বিস্ফোরক রৌদ্রদগ্ধ গেরিলার মতো দেব অতর্কিতে হানা?
নাকি ফিরে চলে যাবো এত পথ, এত দীর্ঘ পথ ভেঙে পৌঁছুবার পরে?

কে দেবে উত্তর তার? আমাকেই দিতে হবে। সারা পথ নাম ধরে ডাকো;
তারপর, তোমারই তো রীতি এই যখন সীমান্তে আমি নিরুত্তর থাকো।