দীর্ঘ দীর্ঘ দিন। বড় দীর্ঘ- আমি স্বস্তিহীন।
খ্রিস্টের বৎসর যদি পার হয়ে যায়,
রক্ত তার এখনো ঝরায়-
এখনো এ পৃথিবীতে মানুষ ক্রুশেও!
অগ্নি ছোটে হাওয়ায় হাওয়ায়।

ক্রমেই নিজের থুতু
তার কাছে হতে থাকে পেয়-
এখনো মাটিকে লাথি যার সমীচীন।
আমি নতজানু এই রক্তাক্ত মাটিতে।
চৌচির এ বুকে তৃষ্ণা- দীর্ঘ জাগরণ-
আর এই প্রার্থনা এখন
আবার বহিয়ে দাও ব্রহ্মপুত্র-
শীতল পাটিতে
আবার বাংলাকে এনে অপরূপ অবসর দাও।

শুধু হাত! বাড়াবে না তাও?
বাংলার মেঘের বুকে
ফিরে দাও বর্ষণের জল-
নাচের ঘুঙুর দাও বয়াতির পায়।
করে তোলো চেতনার সংসার সচ্ছল
অগ্নি যদি যদি শুধু ছাই
আমার জীবন-লতা তবু ধরে সেই পিপাসাই
সবুজ রৌদ্রের আজও,
শুনে উঠি কানে
প্রতিটি উঠানে
ঢেঁকি পাড় দিয়ে চলে ইতিহাস-
ব্যর্থ হয় ত্রাস-

সামান্যের জন্মদিন
তেরোশত নদীর এ দেশে সে তো নবান্নেরই দিন॥
(