শব্দের দোকান খুলে সেই কোন প্রথম প্রহরে
অপেক্ষায় আছি, আর এখন দুপুর,
কেউ তো আসেনি, শুধু এক ক্ষুধার্ত কুকুর—
তাকেই দিয়েছি সব শব্দধ্বনি দুই থালা ভরে।
নদীতে নির্জন নৌকো, জলের নূপুর
স্তব্ধতাকে চুমো খেয়ে শীর্ণ খাতের ভেতরে
শুয়ে আছে—চোখে দেখা যায় যত দূর
দীর্ঘ ছায়া পড়ে আছে মানবের পাঁজরে পাঁজরে।
আমি তো এখন শুয়ে চৌকিতে যে পড়ে আছি একা—
কেউ যদি আসে তার দেখো
পাথর মুহূর্তে যদি ঘুমে চোখ জড়ানোই থাকে—
তবে কাকে
পাব আর—এসে চলে যাবে সে হতাশ—
আমিও স্বপ্নের ঘোরে কেটে যাব ফেটে যাব তাস
যদি এতে জমে ওঠে খেলা!
দোকানটা বন্ধ করে দিতে হলো—এখন যে ঘোর
সন্ধেবেলা—
সন্ধ্যাকাল—নক্ষত্রের দীপ্তিহীন—অমাবস্যা গাঢ় সন্ধ্যার
বুকের ভেতরে শুধু না-লেখা পদ্যের স্বর, যত হাহাকার।