একটি মালিকবিহীন রাষ্ট্রীয় ভবন
একটি অত্যন্ত লোভনীয় চেয়ার  
একটি রক্তাক্ত গোলাপ!

তখন উনিশ শ' পঁচাত্তর সাল
সারাদেশ, জাতি টালমাটাল
বেদখল হয়ে আছে খুনি
পরিবেষ্টিত সেই ভবন!

একাধিক ক্ষমতালোভী পোশাকী গুণ্ডার
লোলুপ দৃষ্টি পড়ে চেয়ারটির ওপর!
সেই চেয়ার নিয়ে সশস্ত্র গুণ্ডাদের মধ্যে চলে
দীর্ঘ আড়াই মাসের নেপথ্য চাপা লড়াই
নীরবে চলতে থাকে পরস্পর
কাড়াকাড়ি মারামারি
হানাহানি খুনাখুনি!

এরপর হঠাত ঘটে কাপুরুষোচিত জেলহত্যা
এবং আরও অনেক অনেক রক্তক্ষয়
অবশেষে চেয়ারটি ছিনতাই হয়!

বিজয়ী বিশ্বাসঘাতক কমাণ্ডার হন খুব খুশি
সতীর্থ হায়েনাদের মুখে তখন ক্রূর হাসি
ছিন্নভিন্ন গোলাপটি ক্রমে ফিরে পেতে
থাকে তার একাত্তর-পূর্ব পরিচয়!

সময়ে স্পষ্ট বোঝা যায় পনের আগস্ট  
পরিকল্পিতভাবেই ঘটানো হয়েছে
পিতার পাশবিক হত্যাকাণ্ড!

এরপর থেকে বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক            
রক্তাক্ত দিনটি পায় বিতর্কিত তকমা
পালিতও হয় পৃথক তিন নামে।

সেই রক্তাক্ত দিনগুলো ৩ ও ৭ নভেম্বর !
#
০৭.১১.২০২২