চন্দ্র থেকে সূর্যের দূরত্ব আজ অনেক বেশী
কালই না হেথা হোথা ঘুরে বেড়াতাম পলক পঙ্খীতে!
আজ আমি মঙ্গল গ্রহের এককোণে-
কোটি কোটি বছর সেখানে আমি কল্পনায় বিভোর ছিলাম
ইচ্ছে হলেই ওশেনিয়া হতে হাওয়াই দ্বীপের সৈকতে যেতাম,
ডানায় চড়ে ঘুরে বেড়িয়েছি হাজারো মাইল পথ
কত রমণীর সমাহার ছিল বিশ্ব-কাননে
প্রত্যেকের মনের দরজায় কড়া নেড়েছি, মঙ্গলীর তাও জানা!
শত ব্যস্ততা, শত ক্লান্তির মাঝে হৃদয় সাগরে ঢেউ তুলেছিল
অপূর্ব রমণী নীলাঞ্জনা।
স্মৃতির শরীরখানা আজ চার হাত-পা বের করে দিয়েছে
মনের আয়নায় তার ছবি ভেসে উঠছে বারবার
চোখ বেয়ে পড়ছে হাজারো ফোঁটা জল,
আজ আমি প্রশান্তের তীরে নির্জনে আঁকছি
তার ছবি, মনের তুলি দিয়ে-
দুষ্টু স্রোত এসে তার ঠোঁটে বারবার চুম্বন করে যাচ্ছে
সাগরের ঢেউ থেকে ভেসে আসছে তার গানের আওয়াজ
দূর পাহাড়ে দেখা যাচ্ছে তার নাচের বাহার- যা আমার জানা
ক্ষণিকের জন্য হলেও আমার মনেতে আলো জ্বেলেছিল
অপরূপা নীলাঞ্জনা।
শ্রাবণ মেঘের দিন, ময়ূর নাচে পেখম মেলে
বারবার আকাশ ছুঁতে চাচ্ছে শত চাতকের দল
রূপালী নদীর মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাচ্ছে মাছরাঙা!
অন্ধকারকে সঙ্গী বানিয়েছে ঝিঁঝিঁ পোকা
তার মাঝে প্রেমের আলো জ্বালিয়েছে জোনাকি,
এমনও রাতে তার হাতে হাত, ঠোঁটে ঠোঁট রাখা
আজ মনেতে দেয় হানা-
পিপাসার্ত এ তনুকে একটু জল দিয়েছিল
সেই প্রতিমা নীলাঞ্জনা।
গভীর রাতে কুঞ্জবনে তার কোলে
মাথা রেখে শান্তির নিদ্রা-
তার নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় তৈরি চমচম
আজও মুখে লেগে আছে,
দুষ্টুমির ঘোরে একটু বকুনি তার ভালোবাসার শুকতারা
ভোর হলেই চোখ খুলে দেখতাম তার অপরূপ মুখখানা,
দিনান্তের প্রান্তে বসে গোধূলির সাদরে তার সেই হাসি
এখনও মনে বেঁধে আছে দানা-
কতজন আসে কতজন যায়,
তবুও রয়ে যায় আমার নীলাঞ্জনা।