সামনা সামনি অনেক কথা তোমায় বলতে ইচ্ছা করে ।
কিন্ত বলতে পারিনা বা সাহস হয়না।
তাই এভাবেই কথার ঝাঁপি খুলতে হোল।
জন্মক্ষনে তোমার হাতের মুঠি কি খোলা ছিল?
তাই কি নামকরণ নর-নারায়ন, নরের সেবা করেই চলেছ।
সংসার না করেই সংসারের হাল ধরেছ তুমি হলধর।
রোদ বৃষ্টি ঝড় তুফানে ছাতা ধরে হয়ে গেলে ছত্রধর।
অন্য মানুষেরা যে যা পারল ছলে বলে কলে কৌশলে
শুধু হাত পেতেই গেল।
কাউকেই তুমি করনি নিরাশ।
একবার পূজোর বাজার হয়নি বলে সবার মুখ শুকনো বাসি রুটি;
বোধনের ঢাক বেজে গেল, বুঝি- দুর্গা মা’ও বেদীতে উঠে গেল।
ওমা দরজা খুলে তুমি এলে, সবার নতুন পোশাক হাতে নিয়ে;
ছুটল খুশির ফোয়ারা, লুকানো কান্নাগুলো হারিয়ে গেল কোথায়?
পারবনা পারবনা করে আজো দিয়ে চলেছ পূজোর বাজার।
একদিন আখার হাঁড়িতে জল ফুটন্ত, কেউ বলেনি চাল বাড়ন্ত ,
কি জানি কিভাবে সব বুঝে নিয়ে করেছ সমস্যার সমাধান।
মুখের খাবার অন্যকে দিয়ে নিজেই থেকেছ অভুক্ত।
তাতেও তুমি হওনি এতটুকু ক্লান্ত ।
আমিও জন্মেই অনাথ
জ্ঞান হয়ে জেনে গেলাম, তুমিই পিতামাতা আমি তোমারি সন্তান।
তোমার কাছে জীবন শিক্ষা, রাতে মহাভারতের গল্পে শেখাতে
সত্য মিথ্যা আর ন্যয় অন্যায় জ্ঞান।
এখন আমি অন্য সংসারে, তোমার থেকে অনেক অনেক দূরে
মনেতে তাই নিত্য আনাগোনা, তোমারি শেখান সে অনুশাসন ।
গভীর অসুখ আর অনেক যন্ত্রণা লুকিয়ে যখন হাসতে পারো
অন্য অনেকের জন্য ।
তখন তুমিই পারবে আগামী দিনের পথের পথিক হতে ।
তোমায় পেয়ে আমিও অনেক ধন্য ।