তোমাকে তেমন করে আমার মনে পড়েনা।
তবু তুমি আমার স্বপ্নে আসো বারবার।
আমার আঁকাজোঁকা হাতে খড়িতে তুমি নেই
তবু রক্তে বহন করি তোমার ঐতিহ্যের অহংকার।
প্রথম দিনের পাঠশালায় আমার হাত ধরতে চাওনি,
তাই পিতার নামের জায়গায় অভিমানে
লিখে ফেলি অন্য কারোর নাম।
তোমার আমার সাক্ষাৎ নিতান্তই সৌজন্যের।
তাইতো মনের কথাগুলো
প্রজাপতির মতন ডানা মেলতে পারেনি।
কোনদিনই কাছে ডেকে আদর করনি
আমার যে অনেক ইচ্ছে ছিল
তোমার হাত ধরে হেঁটে যাব আলপথ ধরে
দূরে হয়তো কোথায় কোন রূপকথার দেশে।
আমার জীবনে তুমিইতো প্রথম হিরো।
পূজার দিনে ঠোট ফুলিয়ে তোমার পথ চাইতাম।
সবাই কেমন বাবা মায়ের হাত ধরে
নতুন পোশাক পরে যায় ঠাকুরের আঙিনায়।
সে আশা আমার কোনদিনই পূর্ণ হয়নি।
বুকের ভিতর কত অভিমানের ঢেউ ছিল
একটাও তোমার হৃদয়তট ছুঁতে পারেনি।
আমার নতুন জীবনেও ছিল
তোমার উপস্থিতি ক্ষণস্থায়ী।
প্রচণ্ড নীরবতায় ক্রমশ পাহাড় ভেঙেছি।
কেন যে এমন হোল জানিনা? আমায় কি চাওনি?
কন্যা সন্তান বংশের ধারক হয়ে ওঠেনা তাই!
শুধু মনে পড়ে
ভিনদেশ থেকে এনেছিলে
অনন্য এক উপহার সুন্দর সে নীল ছাতা।
এ যেন সেই বামহস্তে বিষহরির অঞ্জলি।
তবু আমি জানি,
বাবারা বেঁচে থাকে সন্তানের অন্তরেই।
তাই বুঝি ত্রুটিমুক্ত হতে হাসি মুখে
আমার স্বপ্নে আসো বার বার।