তোদের সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ
ছিলাম নির্বাক এক দর্শক মাত্র।
প্রথম দর্শনে ভাললাগা তারপর !
তারপর পাহাড় বেয়ে নেমে আসা
ঝর্নার মতন স্বচ্ছ সাবলীল ভালবাসা।
তারপর একে একে তোদের ঠাঁই,
আমার ঠিকানায়। অতিথি হয়ে নয়।
আজ থেকে তোরা এই বাড়ির সদস্যা।
তোরা কেউ সরমা কেউ পরমা
কেউ লালিমা কেউ আবার কামিনী।
আবার কেউ নিজগুনে হয়ে গেছিস গান্ধারী।
সরমা সে শুভ্র শঙ্খে সবুজের আল্পনা
পরমা সে দুধে আলতায় নববঁধু অঙ্গনা
লালিমা সে যেন ওষ্ঠরঞ্জনীতে লজ্জাবতী কল্পনা।
কামিনী যেন কামনা মেখে সবুজ মখমলি পান্না
গান্ধারী সে অনন্যা রূপে গুনে সুকন্যা।
মেঘে মেঘে সে হয় ঘন ঘন সন্তান সম্ভবা
কিন্তু আসন্ন প্রসবায় অস্তরম্ভা।
গান্ধারীর মতন দীর্ঘকাল তার অপেক্ষা;
কুঁড়ি তার কিছুতেই বিকশিত হয়না।
মনে মনে থেকে যায় কিছু মলিনতা।
একদিন প্রভাতে গান্ধারীকে দেখে হতবাক!
না জানি কোন ইচ্ছার অস্ত্রপ্রচারে
সে আজ হয়ে উঠেছে শ্বেত শুভ্র ফুল্ল কুসুমিত।
আমারই মতন দুই সন্তান জননী।