অন্তরের গহীন থেকে
তীব্র বেগে বেরিয়া আশা,
কষ্ট গুলিই কি
আমার কবিতা?
অস্পষ্ট সময় থেকে
স্পষ্ট সময়ের
দূরত্বে বসে থাকা,
আমিই কি কষ্টের উপমা।
কষ্ট কে ভুলে গিয়ে
শিষ্টাচার দিয়ে আমরণ পবিত্রতায়,
নিজেকে ঢেকে ফেলে কি
বাস্তবতাকে উপেক্ষা করা যায়?
বাস্তবতার ধর্ম তবু
ছুটে চলা নদীর মত,
মহাশক্তিধর পাথরকেও
করে সে চূর্ণবিচূর্ণ ।
নিদ মহল থেকে শিশ মহলের
দূরত্ব কখনো বেড়ে যায়না,
পানশালা থেকে রংমহলের
সম্পর্কও কখনো ছিন্ন হয়না।
তবু কেন আজ আমি দুরে,
বাস্তবতা আর বাস্তব মুখর
সময়াঙ্গিনা থেকে।
আমায় কে আমা হতে
হারিয়ে নিয়েছে অদূর লোকে।
কে আমার পিষ্ঠে বসিয়ে দিয়েছে,
ধারালো তলোয়ার।
কে আমার হাতের ফুলের তোড়া
তুবড়ে মুচরে দিয়ে,
তলোয়ার কে করেছে খাপ মুক্ত।
তলোয়ারের ঝকঝকানিই এখন
মূর্ত মানবের স্বতন্ত্রতা,
সেখানে কষ্ট প্রেমিকদের
খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
দুর্বোধ্য শব্দের সাবলীলতা কি কখনো
কষ্টের ইঙ্গিত দেয়?
চোখের কোনে শুকিয়ে যাওয়া জলবিন্দু
কি কখনো মুক্ত হতে পারবে?
বিশ্ববাসীকে জানাবে তার হর্ষধ্বনি।
তবু জল গড়ায়, নদী ছুটে চলে
বাস্তবতা ঘিরে রাখে কষ্টকে
মদির চোখ দিয়ে।