" শরৎ "
-শামিম ইশতিয়াক
ক্লান্ত পথিক চেয়ে আছে আকাশ পানে, ভেসে যাওয়া মেঘ যেনো হাতছানি দিয়ে ডেকে বলে "চল গা ভাসাই দুজনাতে"
পথিকের মোটেও সময় নেই হাতে,
ক্ষণে ক্ষনে কতকিছু হাতছানি দিয়ে যায় তাকে,
সময় নেই থোকা থোকা মেঘের সাথে গল্প জমাবার,
সময় নেই শরৎ ভুলে ভবঘুরায় মন ডুবাবার।
এখন তাকে হাটতে হবে,
দূরে পালতোলা নৌকা ভেসে যাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে,
দেখতে হবে নদী পাশে বালু চরে কাশফুলে লেগে যাওয়া হাওয়াদের প্রণয়,
পথের ধারে লজ্জাবতী গাছ ছুয়ে লুটে নিতে হবে লাজুকতার স্বাদ,
পথিকের বড্ড তাড়া, যেতে হবে ঝোপঝাড় মারিয়ে ঘনজঙ্গলে, সেখানে ফুটার কথা রয়েছে শেফালী, শিউলি, ছাতিম ফুলেদের,
হাটুঘেরে ফুটন্ত ফুলে নাক ডুবিয়ে নিতে হবে লম্বা শ্বাস।
শরৎ এলে পথিক উদাসীনতা ভুলে যায়, মনোযোগী হয়ে উঠে একনিষ্ঠ প্রেমিকের মত,
ভোরের ঘাসে খুজে ফিরে দুয়েক ফোটা কুয়াশা, চোখ বন্ধ করে ঢেউ তুলে ধানক্ষেতের হাওয়া হয়ে, শান্ত বিকেলে বাড়ির আঙ্গিনায় আলিঙ্গনে মগ্ন হয় ঝিরঝির হাওয়াদের সাথে।
পথিক এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে যাবে, রোদ্দুরে চেয়ে নজর বুলাবে ডানা মেলা চিলের পানে, কড়া রোদ ডুবে যাওয়া ছায়ায় হেটে যাবে এক পথ থেকে অন্য পথের দুরত্বে, যেনো শরৎ হয়ে সে ছুটে চলে রিতুর পর রিতু আসা এ গ্রাম হতে অন্য গ্রামে.
শামিম ইশতিয়াক
আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ।