আমার একটা ঘর হবে পাহাড়ে,
আমার নিজস্ব ঘর, পাহাড়ের চূড়ায় মনের ঘর,
ভোর হলে যেখানে সূর্যের আলো উকি দিবে জানালায়,
আকাশের নীল হবে জানালার পর্দা,
মেঘের আনাগোনা থাকবে জানালা জুড়ে,
আমি হবো সেই ঘরের একমাত্র বাসিন্দা,
তখন লোকালয়ে থাকবে আমার নিরুদ্দেশ হওয়ার বিজ্ঞাপন।
আমি তখন খুব স্বার্থপর হবো,
সমগ্র পাওয়া, না পাওয়া ভালোবাসাগুলো উপেক্ষা করে
শুধুই ভালোবাসবো পাহাড়কে,
পাখির কলতান, বাড়ির আঙ্গিনাজুড়ে গাছগাছালি,
ঘরের সামনে বসানো দোলনায় এক কাপ চা,
রোমাঞ্চকর কোন উপন্যাসের বই,
পূর্ণিমার চাঁদ, অমাবস্যার অন্ধকার, কখনো ঝুম বৃষ্টি কিংবা তারার ঝিলিমিলি হবে আমার বিশ্বস্ত সঙ্গী।
এসবের ভীড়ে আমি ভুলে যাব তীব্র অপেক্ষা, উপেক্ষা, অবহেলা, দুঃখ, তাচ্ছিল্য ,
তারপর মনে পরবে কাউকে চেয়েও না পাওয়ার ক্ষত, বিচ্ছেদের সুর,কিংবা না হওয়া প্রেমের তান!
যে ভেঙ্গেচুরে চুরমার করে দিয়েছিলো আমায়।
আমার দিন কাটবে ঝুম চাষ দেখে,
বন্য হিংস্র পশুদের সাথে হবে বন্ধুত্ব,
আঙ্গিনায় খুলবো এক পাঠশালা,
আদিবাসী শিশুদের হাতেখড়ি কিংবা হৃদয়ের যত্ন নেওয়ার পাঠদান দিব তাদের,
সুদুরেই গড়বো ছোট্ট এক উপাসনালয়
পাচ বেলা ফরিয়াদ শেষে হাত তুলবো,
প্রশান্তি দিও ক্ষত হওয়া হৃদয়ে
এদেশেই দিও মরণ, যেদেশের প্রকৃতিতে পেয়েছিলাম মানসিক শান্তি,
যে দেশে হয়েছিল আমার নিজস্ব পাহাড়ি ঘর।
শামিম ইশতিয়াক
ময়মনসিংহ।