বোধহয় সেদিন আমি তোমার প্রেমে পড়েছিলাম, তোমার রুক্ষ চুল, কপালে তিন চারটি ভাজ, চশমার রঙচটা ফ্রেম, নাকে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম, তোমার মুচকি হাসির বাকানো ঠোট। বোধহয় আমি সব খেয়াল করেছিলাম।
কিন্তু কি আশ্চর্য! তোমায় নিয়ে তখন মাথায় কবিতা আসেনি, দু চরণ উকি দেয়নি তোমার মুগ্ধতা হয়ে, ছন্দে তুমি দোলা দাওনি এক গাদা শব্দ হয়ে, আমার লোভাতুর দৃষ্টি যেনো বিসর্জন দিয়েছিলো কবিতাকে।
তারপর যখন তুমি আড়াল হলে, তখন আমি ভাবলাম তোমায় নিয়ে কবিতা লিখি, শান্ত নিশিতে তোমায় সাজাই সাদা পাতায়, কল্পনায় তোমার আঙ্গুলের ভাজে আমার আঙ্গুল লাগাই, হেটে চলি তুমি আমি গোধূলীর সিমান্ত মাড়িয়ে, তোমায় কিনে দেই ফুচকা, আইসক্রিম আর একটি সূর্যমুখী ফুল।
তারপর ভাবলাম না কবিতা নয়, জলরঙে তোমার ছবি আকি, তুলির ছোয়ায় তোমায় দেই আমার গোপন স্পর্শ, চেয়ে দেখি ভেজা রঙের গন্ধে তোমার নাক ছিটকানো, ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেই তোমার ভেতর হাজারটা রঙ।
অথচ দেখো, কোন কিছুই হলোনা, না তোমায় নিয়ে লিখেছি, না তোমায় একেছি, না তোমায় সাজিয়েছি কোন রূপে, তবু আমার মাঝে তোমায় নিয়ে ভাবান্তর হয়, সন্দেহ মাথাচাড়া দেয়, তবে কি বিকাল প্রশস্ত হলে তুমি আমার গোপন স্পর্শ পাও???