দুজনার হেটে চলা ছিলো এক পথে, ক্লান্তিহীন কত পথ কত সময় কাটিয়েছে দুজনায়
এখন সরলরেখা ভেদ করে বেকে গেছে দুজনার পথ, যেনো রক্তহীন যুদ্ধ অবসান হলো মাত্র,
বিশুদ্ধ দুঃখ গুলো গোপনে কান্না হয়ে জল ছিটালো জমিনে,
যে জলে ভিজে গেলো বৃক্ষ ডাল সবুজ পাতা আর সরলরেখার পথ।
বিষণ্ণ বিকেলে ফুটপাতে হেটে হেটে তারা ভেবেছিলো, শঙ্খচিলের ডানায় করে দুজনে যাবে সমুদ্রস্নানে,
বৃষ্টিজলে ভেসে আসা ভ্রমরা মাতাল কদমের ঘ্রান শুনবে সন্ধাপানে,
আদিগন্ত আকাশ কিনে দুজনা দেখবে পাখিদের উড়ে যাওয়া,
নদী জলে নৌকা ভাসিয়ে বৈঠা ফেলে ভেসে যাবে বৈরি হাওয়া পানে।
এসব এখন সময়ের ভাস্কর্য্য হয়ে আছে, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসেবে লেগেছে গোলমাল,
দুজনায় এখন একাকী বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত,
নাগালের বাহির থেকে নিঃসঙ্গতা জুড়ে গেছে দুজনার কপালে।
এখন আর কেও কাওকে জীবন নিয়ে প্রশ্ন করেনা, হামাগুড়ি দেয়া স্বপ্নগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে কেও ভাবেনা, নির্বিকার জীবনের মানেটাও খুজেনা,
কি হবে জীবন খুজে? যেখানে জীবনের বিবর্ন সুখগুলো কেদে বেড়ায় অপুর্ণতা নিয়ে।
এখন তারা একাকী অন্ধকার রাত দেখে, বুকের ভেতর স্মৃতিরা বিদ্রোহ করে, বোবা কান্না চেপে যায় মনে, তবুও নির্বিকার হয়ে থাকাটাই মানানসই লাগে।
ভালোবেসেছিলো দুজনায়, ভুল ভ্রান্তি আর চেপে থাকা আলাদা করে দিলো তাদের নদী সমুদ্রের মোহনায়, এখন তাদের আর নিস্বঙ্গ লাগেনা, একাকিত্ব নিরবতা সবই এখন অভ্যাস যেমন ভেঙ্গে যাওয়া এই গল্পের কবিতার মতো।