বাংলা ভাষায় সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতাঃ
বাংলা সাহিত্যে সনেট কবিতা বলতে অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত, অন্ত্যমিল বিন্যাসের বিশিষ্ট আদর্শে গঠিত, ১৪, ১৬, ১৮, ২০, ২২, ২৬, ২৮, ৩০ ইত্যাদি মাত্রার বাক্য/পঙ্ক্তি/পদ/চরণ-এর বিশেষ ছন্দবদ্ধ কবিতাকে বোঝায়। উক্ত সনেট কবিতার প্রথম ৮ বাক্য/পঙ্ক্তি/পদ/চরণ-এ একটা ভাব প্রকাশিত হয় এবং পরের ৬ বাক্য/পঙ্ক্তি/পদ/চরণ-এ তার বিশ্লেষণ থাকে; অর্থাৎ মিলের একটা আদর্শ অনুসরণ করা হয়। এ সনেটকে চতুর্দশপদী কবিতাও বলা হয়।
আধুনিক বাংলা কাব্যের জনক মধু কবি (মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত) সর্বপ্রথম বিদেশি সাহিত্যের সনেট প্রকরণটি বাংলায় আমদানী করেন। সনেটকে বাংলায় চতুর্দশপদী নাম তিনিই দিয়েছিলেন। তিনি সনেটের জন্মদাতা পেত্রার্কের এবং শেক্সপিয়ার উভয়ের প্রকরণ ধারণ করেছিলেন। ১৪ মাত্রায় ১৪ বাক্য/পঙ্ক্তি/পদ/চরণ-এ সমাপ্ত সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতাকে তিনি বাংলা ভাষায় জনপ্রিয় করে তোলেন। ১৮৬৬ খ্রীষ্টাব্দে কবির চতুর্দশপদী কবিতাগুলি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই কবিতাগুলিতে কবি চিত্তের ব্যাকুলতা, স্বদেশ প্রেমিকতা ও আবেগ ধ্বনিত হয়েছে।
মধু কবির তিনটি সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা এখানে দেয়া হলোঃ
কি দুখে, হে পাখি, তুমি শাখার উপরে (A)
বসি, বউ কথা কও, কও এ কাননে?- (B)
মানিনী ভামিনী কি হে, ভামের গুমরে, (A)
পাখা-রূপ ঘোমটায় ঢেকেছে বদনে? (B)
তেঁই সাধ তারে তুমি মিনতি-বচনে? (B)
তেঁই হে এ কথাগুলি কহিছ কাতরে? (A)
বড়ই কৌতুক, পাখি, জনমে এ মনে- (B)
নর-নারী-রঙ্গ কি হে বিহঙ্গিনী করে? (A)
সত্য যদি, তবে শুন, দিতেছি যুকতি; (C)
(শিখাইব শিখেছি যা ঠেকি এ কু-দায়ে) (D)
পবনের বেগে যাও যথায় যুবতী; (C)
“ক্ষম, প্রিয়ে” এই বলি পড় গিয়া পায়ে!- (D)
কভু দাস, কভু প্রভু, শুন, ক্ষুন্ন-মতি, (C)
প্রেম-রাজ্যে রাজাসন থাকে এ উপায়ে। (D)
(বউ কথা কও/মাইকেল মধুসূদন দত্ত)
সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে (A)
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে; (B)
সতত (যেমতি লোক নিশার স্বপনে (A)
শোনে মায়া-যন্ত্রধ্বনি) তব কলকলে (B)
জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!- (A)
বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে, (B)
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে? (B)
দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্ম-ভূমি-স্তনে! (A)
আর কি হে হবে দেখা?—যত দিন যাবে, (C)
প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে (D)
বারি-রূপ কর তুমি ; এ মিনতি, গাবে (C)
বঙ্গজ-জনের কানে, সখে, সখা-রীতে (D)
নাম তার, এ প্রবাসে মজি প্রেম-ভাবে (C)
লইছে যে তব নাম বঙ্গের সঙ্গীতে! (C)
(কপোতাক্ষ নদ/মাইকেল মধুসূদন দত্ত)
বড়ই নিষ্ঠুর আমি ভাবি তারে মনে, (A)
লো ভাষা, পীড়িতে তোমা গড়িল যে আগে (B)
মিত্রাক্ষররূপ বেড়ি ! কত ব্যথা লাগে (B)
পর’ যবে এ নিগড় কোমল চরণে- (A)
স্মরিলে হৃদয় মোর জ্বলি উঠে রাগে (B)
ছিল না কি ভাবধন, কহ, লো ললনে, (A)
মনের ভাণ্ডারে তার, যে মিথ্যা সোহাগে (B)
ভুলাতে তোমারে দিল এ তুচ্ছ ভূষণে? (A)
কি কাজ রঞ্জনে রাঙি কমলের দলে? (C)
নিজরূপে শশিকলা উজ্জ্বল আকাশে! (D)
কি কাজ পবিত্রি’ মন্ত্রে জাহ্নবীর জলে? (C)
কি কাজ সুগন্ধ ঢালি পারিজাত-বাসে? (D)
প্রকৃত কবিতা রূপী কবিতার বলে,- (C)
চীন-নারী-সম পদ কেন লৌহ ফাঁসে? (D)
(মিত্রাক্ষর/মাইকেল মধুসূদন দত্ত)
বিজন সঙ্কেতের ভাষায় “মাইকেল থেকে শুরু করে বিনয় মজুমদার অব্দি অনেকেই অনেক, অনেক সনেট লিখলেও সনেটের বিশ্বায়িত বেশুমার কম্বিনেশনের তুলনায় বাংলা ভাষাতে সমকালীন সমস্ত সনেটই হয়ে উঠেছে নোট মুখস্থ পাশের পড়ার মত! এই মুখস্থ পাশের পড়া প্রকরণের দিকে আঙ্গুল উচিয়ে ছিলেন বাংলা ভাষার প্রথম সনেটিয়া মাইকেল মধুসূদন, তার উপরের সনেট’টায়। ........... ভাষা প্রকরণের শিকলে আটকালে যে তার অবস্থা লোহার জুতা পরা চৈনিক মেয়ের বাঁকানো পায়ের নান্দনিকতায় গড়ায়, তা যে মাইকেলের অনেক বছর পর রবীন্দ্রনাথ’কে ভাবিয়েছিল, তার প্রমাণ মেলে,’নৈবেদ্য’, ‘চৈতালি’ ও ‘প্রান্তিকে’ ঠাই পাওয়া সনেটগুলোতে! ............” (প্রবন্ধঃ ভাঙ্গা লিরিকের শিথিল সনেট, তারিখ-২৫/০৮/২০১২, https://arts.bdnews24.com)।
অমিত্রাক্ষর ছন্দঃ
অতঃপর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করেন, এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলোঃ
ক) ভাবের প্রবহমানতা। অর্থাৎ, এই ছন্দে ভাব চরণ-অনুসারী নয়, কবিকে একটি বাক্য/পঙ্ক্তি/পদ/চরণ-এ একটি নির্দিষ্ট ভাব প্রকাশ করতেই হবে - তা নয়, বরং ভাব এক চরণ থেকে আরেক চরণে প্রবহমান এবং চরণের মাঝেও বাক্য শেষ হতে পারে।
খ) বিরামচিহ্নের স্বাধীনতা বা যেখানে যেই বিরামচিহ্ন প্রয়োজন, তা ব্যবহার করা এই ছন্দের একটি বৈশিষ্ট্য।
গ) অমিত্রাক্ষর ছন্দে অন্ত্যমিল থাকে না, বা চরণের শেষে কোন মিত্রাক্ষর বা মিল থাকে না।
ঘ) মিল না থাকলেও এই ছন্দে প্রতি চরণে মাত্রা সংখ্যা নির্দিষ্ট (সাধারণত ১৪) এবং পর্বেও মাত্রা সংখ্যা নির্দিষ্ট (সাধারণত ৮+৬) থাকে।
উদাহরণ-
জাগে রথ, রথী, গজ, অশ্ব, পদাতিক(৮+৬)
অগণ্য। দেখিলা রাজা নগর বাহিরে,(৮+৬)
রিপুবৃন্দ, বালিবৃন্দ সিন্ধুতীরে যথা,(৮+৬)
নক্ষত্র-মণ্ডল কিংবা আকাশ-মণ্ডলে(৮+৬)
(মেঘনাদবধকাব্য; মাইকেল মধুসূদন দত্ত)
পরবর্তীকালে, দেবেন্দ্রনাথ সেন, অক্ষয়কুমার বড়াল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মোহিত লাল মজুমদার, প্রমথ চৌধুরী, ফররুখ আহমদ, কামিনী রায়, জীবনানন্দ দাশ, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, শহীদ কাদরী, সৈয়দ শামসুল সহ হাল জামানার সকল কবিই কমবেশি বাংলা সনেট তথা চতুর্দশপদী কবিতার চর্চা করেন।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের তিনটি সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা এখানে দেয়া হলোঃ
এ আমার শরীরের শিরায় শিরায় (A)
যে প্রাণ তরঙ্গমালা প্রতিদিন ধায় (A)
সেই প্রাণ ছুটিয়াছে বিশ্ব-দিগ্বিজয়ে (B)
সেই প্রাণ অপরূপ ছন্দে,তালে লয়ে (B)
নাচিছে ভুবনে, সেই প্রাণ চুপে চুপে (C)
বসুধার মৃত্তিকার প্রতি রোমকূপে (C)
লক্ষ লক্ষ তৃণে তৃণে সঞ্চারে হরষে (D)
বিকাশে পল্লবে পুষ্পে বরষে বরষে (D)
বিশ্বব্যাপী জন্ম-মৃত্যু সমুদ্র দোলায় (E)
দুলিতেছে অন্তহীন জোয়ার ভাটায় (E)
করিতেছি অনুভব সে অনন্ত প্রাণ (F)
অঙ্গে অঙ্গে আমারে করেছে মহীয়ান (F)
সেই যুগ-যুগান্তের বিরাট স্পন্দন (G)
আমার নাড়ীতে আজি করিছে নর্তন (G)
[পর্বঃ ৮+৬ (মাত্রা), নৈবেদ্য/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]
অয়ি তন্বী ইছামতী, তব তীরে তীরে (A)
শান্তি চিরকাল থাক কুটিরে কুটিরে- (A)
শস্যে পূর্ণ হোক ক্ষেত্র তব তটদেশে। (B)
বর্ষে বর্ষে বরষায় আনন্দিত বেশে (B)
ঘনঘোরঘটা-সাথে বজ্রবাদ্যরবে (C)
পূর্ববায়ুকল্লোলিত তরঙ্গ-উৎসবে (C)
তুলিয়া আনন্দধ্বনি দক্ষিণে ও বামে (D)
আশ্রিত পালিত তব দুই-তট-গ্রামে (D)
সমারোহে চলে এসো শৈলগৃহ হতে (E)
সৌভাগ্যে শোভায় গর্বে উল্লসিত স্রোতে। (E)
যখন রব না আমি, রবে না এ গান, (F)
তখনো ধরার বক্ষে সঞ্চরিয়া প্রাণ, (F)
তোমার আনন্দগাথা এ বঙ্গে, পার্বতী, (G)
বর্ষে বর্ষে বাজিবেক অয়ি ইছামতী! (G)
[পর্বঃ ৮+৬ (মাত্রা), চৈতালি: ইছামতী নদী/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]
সন্ধ্যাবেলা লাঠি কাঁখে বোঝা বহি শিরে (A)
নদীতীরে পল্লীবাসী ঘরে যায় ফিরে। (A)
শত শতাব্দীর পরে যদি কোনোমতে (B)
মন্ত্রবলে অতীতের মৃত্যুরাজ্য হতে (B)
এই চাষী দেখা দেয় হয়ে মূর্তিমান, (C)
এই লাঠি কাঁখে লয়ে, বিস্মিত নয়ান, (C)
চারি দিকে ঘিরি তারে অসীম জনতা (D)
কাড়াকাড়ি করি লবে তার প্রতি কথা। (D)
তার সুখদুঃখ যত, তার প্রেম স্নেহ, (E)
তার পাড়াপ্রতিবেশী, তার নিজ গেহ, (E)
তার খেত, তার গোরু, তার চাষ-বাস, (F)
শুনে শুনে কিছুতেই মিটিবে না আশ। (F)
আজি যার জীবনের কথা তুচ্ছতম (G)
সেদিন শুনাবে তাহা কবিত্বের সম। (G)
[পর্বঃ ৮+৬ (মাত্রা), চৈতালি: সামান্য লোক/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]
আল মাহমুদর তিনটি সনেট বা চতুর্দশপদী এখানে দেয়া হলোঃ
সোনার দিনার নেই, দেন্ মোহর চেয়ো না হরিণী (A)
যদি নাও, দিতে পারি কাবিনবিহীন হাত দু’টি, (B)
আত্মবিক্রয়ের স্বর্ণ কোনোকালে সঞ্চয় করিনি (A)
আহত বিক্ষত করে চারদিকে চতুর ভ্রুকুটি; (B)
ভালোবাসা দাও যদি আমি দেব আমার চুম্বন, (C)
ছলনা জানি না বলে আর কোনো ব্যবসা শিখিনি; (A)
দেহ দিলে দেহ পাবে, দেহের অধিক মূলধন (C)
আমার তো নেই সখী, যেই পণ্যে অলংকার কিনি। (A)
বিবসন হও যদি দেখতে পাবে আমাকে সরল (D)
পৌরুষ আবৃত করে জলপাইয়ের পাতাও থাকবে না; (E)
তুমি যদি খাও তবে আমাকেও দিয়ো সেই ফল (D)
জ্ঞানে ও অজ্ঞানে দোঁহে পরস্পর হব চিরচেনা (E)
পরাজিত নই নারী, পরাজিত হয় না কবিরা; (F)
দারুণ আহত বটে আর্ত আজ শিরা-উপশিরা। (F)
[পর্বঃ ৮+১০ (মাত্রা), সোনালি কাবিন-১/আল মাহমুদ]
ঘুরিয়ে গলার বাঁক ওঠো বুনো হংসিনী আমার (A)
পালক উদাম করে দাও উষ্ণ অঙ্গের আরাম (B)
নিসর্গ নমিত করে যায় দিন, পুলকের দ্বার (A)
মুক্ত করে দেবে এই শব্দবিদ কোবিদের নাম। (B)
কক্কার শব্দের পর আরণ্যক আত্মার আদেশ (C)
আঠারোটি ডাক দেয় কান পেতে শোন অষ্টাদশী, (D)
আঙুলে লুলিত করো বদ্ধবেণী, সাপিনী বিশেষ (C)
সুনীল চাদরে এসো দুই তৃষ্ণা নগ্ন হয়ে বসি। (D)
ক্ষুধার্ত নদীর মতো তীব্র দুটি জলের আওয়াজ- (E)
তুলে নিয়ে যাই চলো অকর্ষিত উপত্যকায়, (F)
চরের মাটির মতো খুলে দাও শরীরের ভাঁজ (E)
উগোল মাছের মাংস তৃপ্ত হোক তোমার কাদায়, (F)
ঠোঁটের এ-লাক্ষারসে সিক্ত করে নর্ম কারুকাজ (E)
দ্রুত ডুবে যাই এসো, ঘূর্ণমান রক্তের ধাঁধায়। (F)
[পর্বঃ ৮+১০ (মাত্রা), সোনালি কাবিন-৩/আল মাহমুদ]
নদীর সিকস্তি কোনো গ্রামাঞ্চলে মধ্যরাতে কেউ (A)
যেমন শুনতে পেলে অকস্মাৎ জলের জোয়ার, (B)
হাতড়ে তালাশ করে সঙ্গিনীকে, আছে কিনা সেও (A)
সে নারী উন্মুক্ত করে তার ধন-ধান্যের দুয়ার (B)
অন্ধ আতঙ্কের রাতে ধরো ভদ্রে, আমার এ-হাত (C)
তোমার শরীরে যদি থেকে থাকে শস্যের সুবাস, (D)
খোরাকির শত্রু আনে যত হিংস্র লোভের আঘাত (C)
আমরা ফিরাবো সেই খাদ্যলোভী রাহুর তরাস (D)
নদীর চরের প্রতি জলে-খাওয়া ডাঙার কিষাণ (E)
যেমন প্রতিষ্ঠা করে বাজখাঁই অধিকার তার (F)
তোমার মস্তকে তেমনি তুলে আছি ন্যায়ের নিশান (E)
দয়া ও দাবিতে দৃঢ় দীপ্তবর্ণ পতাকা আমার; (F)
ফাটানো বিদ্যুতে আজ দেখো চেয়ে কাঁপছে ঈশান (E)
ঝড়ের কসম খেয়ে, বলো নারী, বলো তুমি কার? (F)
[পর্বঃ ৮+১০ (মাত্রা), সোনালি কাবিন-১২/আল মাহমুদ]
পরিশেষে নিজের একটি মতামতঃ
শিল্পীর স্বাধীনতা বলে একটা কথা আছে। কোন শিল্পীই নিয়মের ব্যাকরণে আবদ্ধ থাকতে চান না। প্রতিভার ধর্ম নতুনত্বের দিকেই। শুধু নতুনত্ব দিয়ে শিল্পের বিচার হয় না। শিল্প ‘সহৃদয় হৃদয় সংবেদী’ পাঠকের অন্তরে কতটুকু স্থায়ীত্ব লাভ করে সেটাই বিচার্য্ বিষয়। এ দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে আমার মতে বাংলা সনেট কবিতায় অক্ষরবৃত্ত ছন্দের পর্ব বিভাজন ও অন্ত্যমিল পদ্ধতি (rhyme scheme) ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রত্যেক কবির জন্য নিজস্ব রীতির পাশাপাশি যে কোন ইচ্ছা অনুসরণের স্বাধীণতা থাকা উচিত; যেমনঃ ৯+৫, ১০+১০, ৮+৮ পর্ব; AABB CCDD EEFF GG অন্ত্যমিল, যেমন খুশি তেমন। নইলে চীনা মেয়ের পায়ে পরার মতো ‘লৌহ ফাঁশ’-এর বন্ধনীতে আটকা পড়তে হয়।
সমাপ্ত
তথ্যসূত্রঃ
১) Master Class - What are the different types of Sonnets (https://www.masterclass.com)
২) Wikipedia
৩) প্রবন্ধঃ ভাঙ্গা লিরিকের শিথিল সনেট, বিজন সঙ্কেত, ২৫/০৮/২০১২, (https://arts.bdnews24.com)
৪) প্রবন্ধঃ সনেট-কিছু জরুরী তথ্য, শুভাশিষ ঘোষ
৫) কাব্যগন্থ - সোনালী কাবিন, আল মাহমুদ
৬) প্রবন্ধঃ সার্বজনীন ‘সনেট’ রচনায় কবি আল মাহমুদের জুড়ি নেই, সৈয়দ জেরিন, দৈনিক পূ্র্বদেশ, ০৮/০৩/২০১৯