স্পেন্সারিয়ান সনেটঃ
ষোল শতকে ইংরেজ কবি স্যার এডমন্ড স্পেন্সার (Sir Edmund Spenser, ১৫৫২-১৫৯৯)-এর নামানুসারে স্পেন্সারিয়ান সনেটের নামকরণ করা হয়। স্পেন্সারিয়ান সনেট উত্তরাধিকার সূত্রে Sir Thomas Wyatt (১৫০৩-১৫৪২)/Henry Howard, Earl of Surrey (১৫১৫-১৫৪৭)-এর অলংকারপূর্ণ দ্বীপদীকা (couplet) ঐতিহ্যগতভাবে পেয়েছে, যদিও স্পেন্সার রূপক (metaphor), দ্বন্দ্ব (conflict), ধারণা (idea) বা প্রশ্ন (question)-কে যৌক্তিকভাবে বিকাশের জন্য অলংকারপূর্ণ (declamatory) দ্বীপদীকার (couplet) সাথে সিসিলিয়ান চতুষ্ক (Sicilian Quatrains - A very popular quatrain consisting two rhymed couplets giving a suggested pattern of AB and AB) ব্যবহার করেছিলেন।

স্পেন্সারিয়ান সনেটের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমানঃ

ক) স্পেন্সারিয়ান সনেট শেক্সপিয়ারিয়ান সনেটের একটি ভিন্নরূপ, এতে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং অন্ত্যমিল প্রক্রিয়া (rhyme scheme) অনুসরণ করা হয়। অন্ত্যমিল প্রক্রিয়াটি (rhyme scheme) হলো - ABAB BCBC CDCD EE।

খ) তিনটি সিসিলিয়ান চতুষ্ক (Sicilian Quatrain) নিয়ে একটি Quatorzain গঠিত হয় এবং শেষ হয় একটি সমিল দ্বিপদীকায় (Rhymed Couplet)।

গ) Meter/prosody (মৌলিক ছন্দিত কাঠামো বা ছন্দবিজ্ঞান) ও প্রাথমিকভাবে iambic pentameter ব্যবহৃত হয়।

ঘ) শেষ সমিল দ্বিপদীকায় (Rhymed Couplet), কখনোবা দ্বিতীয় চতুষ্কের (Quatrain) পরে ভোল্টা (Volta-মেজাজ বদল) বা পিভট (pivot-দিক বদল) পরিলক্ষিত হয়, যার আবির্ভাবটি (epiphany) যুক্তিযুক্তভাবে দেখা যায়।

ঙ) প্রতিটি চতুষ্কের (Quatrain) সাথে একটি রূপক (metaphor), দ্বন্দ্ব (conflict), ধারণা (idea) বা প্রশ্ন (question) বিকাশলাভ করে এবং শেষের অলংকারপূর্ণ (declamatory) দ্বীপদীকায় (couplet) দৃঢ়তা/সংকল্প/সিদ্ধান্ত প্রকাশ পায়।

স্যার এডমন্ড স্পেন্সারের দুটি বিখ্যাত সনেট এখানে দেয়া হলোঃ

          One day I wrote her name upon the strand, (A)
          But came the waves and washed it away; (B)
          Again I wrote it with a second hand, (A)
          But came the tide and made my pains his prey. (B)
          “Vain man,” said she, “that dost in vain assay (B)
          A mortal thing so to immortalize, (C)
          For I myself shall like to this decay, (B)
          And eke my name be wiped out likewise (C)
          “Not so.” quod I, “Let baser thing devise (C)
          To die in dust, but you shall live by fame; (D)
          My verse your virtues rare shall eternize (C)
          And in the heavens write your glorious name, (D)

          Where, when as death shall all the world subdue, (E)
          Our love shall live, and later life renew.” (E)

          (Sonnet LXXV/Sir Edmund Spenser)



          Fresh Spring! the herald of Loves mighty king, (A)
          In whose coat-armour richly are displayed (B)
          All sorts of flowers, the which on earth do spring (A)
          In goodly colours gloriously arrayed – (B)
          Go to my love, where she is careless laid, (B)
          Yet in her winters bower, not well awake; (C)
          Tell her the joyous time will not be staid, (B)
          Unless she do him by the forelock take: (C)
          Bid her, therefore, herself soon ready make (C)
          To wait on Love amongst his lovely crew, (D)
          Where every one that misseth then her make, (C)
          Shall be by him amerced with penance dew. (D)

          Make haste, therefore, sweet Love! whilst it is prime; (E)
          For none can call again the passed time. (E)

          (Amoretti/Sir Edmund Spenser)



স্পেন্সারিয়ান ফর্মের একটি বাংলা সনেট দেয়া হলোঃ

          তুমি যদি বারবার, দূরে ঠেলে দাও (A)
          আলুথালু অসময়, ঘিরে ধরে ঘরে (B)
          কেনো তবে জমিনের, খোঁজ নিতে চাও? (A)
          প্রতি পা-ফেলা চিহ্নের, পাতা তুলে ধরে। (B)
          বিষের জ্বলনে পোড়াও, থেকে তুমি ঘোরে (B)
          পথহারা পথে চলে, কিবা আছে গতি? (C)
          দাঁড়ায়ে রয়েছে কাল, সম্মুখের ভোরে (B)
          তবুও তোমার কেনো, ফেরে না সুমতি? (C)
          তুষের আগুনে হায়, করে যাও ক্ষতি (C)
          শয়নে ধেয়ানে রেখে, কার কথা মনে? (D)
          বহে কাল, থাকবে না, সময়ের যতি (C)
          মনে হয় কার যেনো, কানে কথা শোনে! (D)

          তাই বলি ঘোর ছেড়ে, রাখবে অভয় (E)
          শান্তির হাওয়া ঘরে, আনো সুসময়। (E)

          [পর্বঃ ৮+৬ (মাত্রা); তুষের আগুন/মোঃ ফিরোজ হোসেন]

                                                                                                ক্রমশ