হামাগুড়ি দেই তোমার বুকে
তুমি অনুগ্রহের বরষায় সিক্ত উর্বর মাটি
তোমার বুক চিরে প্রাণ পায় অঙ্কুরিত বীজ
একদিন বৃক্ষে পরিণত হয়
তোমার দিকে তাকিয়ে-
দাঁড়িয়ে থাকি অপেক্ষার প্রান্তে।

সাগরের নোনা জলে সাঁতার কাটি
একজন ডুবুরি এবং একটি জাহাজ
জলরাশির গহীন তলে স্বপ্নেরা খেলা করে
আর স্যাঁতসেঁতে সভ্যতার কুঁড়ির প্রতি
অনন্তকাল তাকিয়ে থাকি …!

অরণ্যের দিকে হেঁটে যাই
গহীন হতে গহীনে
বড় বড় বৃক্ষের সারি নির্বিকার দাঁড়িয়ে আছে
একদম প্রতিক্রিয়াহীন
বৃক্ষের স্পর্শে এসে শ্বাস টানি
দৃষ্টি চলে যায়-
গাছেদের মগডালের তরতাজা পাতার প্রতি।

ফিরে আসি-
সাধারণ জনতার মাঝে
ফুটপাত, রাজপথ, আঁকা বাঁকা মেঠো পথ
হাওড়, বাওড়, বিল
সরিষার ক্ষেত, লক্ষ-কোটি ফসলের ক্ষেত
ক্রমাগত হেঁটে যায় পথিক
পথিকের চলার পথ ধরে নিঃসীম দিগন্তে-
অপেক্ষার দৃষ্টিও মিশে যায় …!

জনপদে বিলিয়ে দেই-
দিয়াশলাইয়ের কাঠি, জনে জনে, পকেটে পকেটে
কাঠির মস্তকে জমানো বারুদ
গভীর রজনীতে - দূর অন্তরীক্ষে ফুটন্ত-
জ্বলজ্বলে নক্ষত্রের আগুন
উত্তাপ পাও কি … … উত্তাপের হাওয়া …!
এমন উত্তাপ ছড়িয়ে দাও, কেবলই ছড়িয়ে দাও।

ফিরোজ, মগবাজার, ১০/০৬/২০২৪