তিপ্পান্ন বৎসর পুড়েছে বাংলাদেশ
ভাষণে ভাষণে - রুচির আগ্রাসনে, পুড়িয়ে কর্পূরের ধোঁয়া-
হাভাতে লোভের আরো চাহিদায়;
পুড়েছে ভিক্ষা, পুড়েছে রক্ত-ঘাম, পুড়েছে মাংস-হাড়-নির্যাস
পুড়েছে নদী-ঘাট-প্রান্তর প্রতিহিংসায়
আরো পুড়েছে খর তাপে চৌচির মাঠের তৃষ্ণায়।

সোনা পুড়ে খাঁটি হয় - যত পোড়ে খাঁটি হয় ততই
খাঁটি হোক আঁধার, ব্যাধি-জরা, হিংসা-আগুন
খাঁটি হোক-  
আমার বুক-পিঠ-মুখ, হাত-পা-মাথা, সমগ্র প্রাঙ্গণ
যত আছে জীর্ণ আত্মা
মসজিদ, মন্দির, গির্জা, আর যত ধর্মালয়
কুয়াশার বাঁধা পেরিয়ে হৃষ্টপুষ্ট তরতাজা সবুজ পাতা।

যত ছিল কৃষ্ণ অবকাশ - প্রশান্ত ইমামের শুভ্র টুপি হোক
লেপটে থাকা পরগাছা-পরিচ্ছদ ছুড়ে ফেলে পবিত্র হবো
ধারালো তরবারি চোখে সদা জাগ্রত চৈতন্যে;
যদি তেড়ে আসে দ্বন্দ্বিতা ঈগলের নখ
বুকে মানচিত্র ধারণ করে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠুক ধমনী
তুঙ্গ নাদ, হৈদরী হাঁক, এ দেশ আমার-আমাদের;
সোনা যতই পোড়ে খাঁটি হয় তত।

ফিরোজ, মগবাজার, ১৮/১০/২০২৪