বারান্দাটি খোলা
একান্ত উদাসী হাওয়ার মতো মুক্ত - বন্ধনহীন
পাশের রাস্তা হতে-
রিকসা-সাইকেলের টুংটাং আওয়াজ
ছুটে এলো হাসনাহেনা-রজনীগন্ধার উন্মাতাল ঘ্রাণ
গন্ধরাজের রাজকীয় সৌরভ - খিলখিল হেসে লুটোপুটি
একটি নারিকেল পাতা-
বারান্দার কোল ঘেঁষে বাতাসে দোল খায়
পাশের সুপারি বনে বাঁদুরের ডানা ঝাপটানি
পূর্ব দিগন্তে-
ফুটে ওঠে সুবেহ সাদিকের রক্তিম প্রভা
ফজরের ওয়াক্ত
রশিদ চাচা লাঠি ভর দিয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে যায়
শেখ পাড়া জামে মসজিদের পানে
ঝুম বৃষ্টিতে রাস্তায়-
একই ছাতার নীচে কপোত কপোতী
শাড়ির আঁচল মুড়ে মুছে দেয় প্রেমিকের ভেজা শরীর।
একটি অবারিত বারান্দায়-
একটি ব্যথাতুর অন্তর হাউমাউ কেঁদে ওঠে
আবার প্রচণ্ড উল্লাসে অট্টহাসি
বাতাসে ভাসিয়ে দেয় উত্তাল চিৎকার
উন্মুক্ত দাওয়ায় উদাসী বাতাসের দোলা
এখানে মনের দুয়ার খুলে যায়
কথার কলিরা ফুটে যায়
অনুভবের জানালা দিয়ে অবলীলায় খেলা করে-
দখিনা বাতাস
একটি মুক্ত ও খোলা বারান্দা
পাশের বাড়ির আঙিনায়-
বাহারি ফুলগুলো নেচে ওঠে মৃদু-মন্দ হাওয়ায়
প্রাত-ভ্রমণে রজা দাদা - দুলি দাদী
হাত ধরে হাঁটে, আজীবন রয়ে যাবে একসাথে
রাস্তার ওপারে-
টঙ দোকানটাতে কচিকাঁচা, তরুণ-তরুণীর আড্ডা
কেউ কেউ একটু আধটু আড়াল খোঁজে।
একটি উন্মুক্ত বারান্দা - উদাসী হাওয়ার মতো বাঁধনহীন
একটি পাথরের খণ্ড-
হঠাৎ বুকের ভিতর হতে ছিটকে বেরিয়ে যায়
একটি খোলা বারান্দায়-
কেটে যাবে শত সহস্র শতাব্দীর অনাগত কাল …!
ফিরোজ, মগবাজার, ২৩/০৬/২০২৪